মাহমুদউল্লাহ ও বিজয়ের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বরিশাল
<![CDATA[
সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদ। হাসল এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট। মিডল অর্ডারে নামা ক্রাইসিসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পায় বরিশাল।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ফরচুন বরিশাল। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসান ভালো শুরু এনে দিলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় অল্প রানেই থেমে যাওয়ার শঙ্কা জাগে বরিশালের। তবে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ ১৫৬ রান।
এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৬.২ ওভারে ৪২ রান যোগ করে আমির হামজার শিকারে পরিণত হন সাইফ হাসান। আউট হওয়ার আগে ১৯ বল খেলে ৩ চারে ১৫ রান করেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক সাকিব দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। ৪ বলে ৫ রান করে মুক্তার আলির শিকারে পরিণত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন:ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সাকিবের বরিশাল
ঢাকার বোলাররা এ সময় চেপে ধরে বরিশালের ব্যাটারদের। যার প্রেক্ষিতে দেখতে দেখতে ৬৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। ইবরাহিম জাদরান ২ রানে আমির হামজার ও ইফতেখার আহমেদ ১০ রান করে নাসির হোসেনের শিকারে পরিণত হন।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বিজয় ছিলেন ব্যতিক্রম। ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪২ রান করা বিজয় ফেরেন সৌম্য সরকারের বলে। বরিশালের দলীয় রান তখন ৫ উইকেটে ৯২।
সেখান থেকে সালমান হোসেনকে নিয়ে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে ১৩০ রানের গণ্ডি পেরোয় বরিশাল। ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকারে পরিণত হন তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে এসে ঝড় তোলেন করিম জানাত। আফগান অলরাউন্ডার মাত্র ৫ বলে করেন ১৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১ চার ও ২ ছয়ের মার।
ঢাকার পক্ষে আমির হামজা ৪ ওভারে ২২ রানের বিনময়ে ২ উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম, সালমান ইরশাদ, মুক্তার আলি, নাসির হোসেন ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।
]]>