মিয়ানমারে বিরোধীদের হামলায় জান্তা বাহিনীর ৩০ সেনা নিহত
<![CDATA[
মিয়ানমারে জোরালো হচ্ছে জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীদের তৎপরতা। গেল দুই দিনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৩০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এদিকে মান্দালের একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকশো বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি। এরমধ্যেই, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেশকয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।
গত কয়েক মাস ধরেই মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিদ্রোহী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী। এসব অভিযানে নিরীহ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ ও আটকের পর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি দেশটির মান্দালে অঞ্চলের একটি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে সেনা সদস্যরা। বিদ্রোহী দমনের নামে একটি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে জান্তা বাহিনী।
তবে, দিনদিন জোরালো হচ্ছে জান্তা বিরোধী গোষ্ঠীদের তৎপরতা। গেল দুইদিনে কারেন, মন, রাখাইন, সাগাইং, বাগোসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সেনা সদস্যদের সঙ্গে সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসব হামলায় বহু সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের
এদিকে, সেনাদের একের পর এক অভিযানের মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের দাবি, বিদ্রোহী দমনের নামে নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সেনারা।
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। তবে, তাদেরকে শাসক হিসেবে মেনে নেয় নি দেশটির সাধারণ মানুষ। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে দেশজুড়েই প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালিয়েছে তারা। এসব প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন বহু মানুষ।
]]>




