মিয়ানমারে ৭ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জান্তা সরকার
<![CDATA[
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৭ হাজার ১২ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিতে দেয়া ভাষণে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেই। খবর রয়টার্সের।
জান্তাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। বিগত বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় কিছু সংখ্যক কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে ভাষণে গত দুই বছর ধরে যেসব আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক মিত্র মিয়ানমারের সামরিক সরকারের পাশে ছিল তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান জেনারেল মিন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আশা করছি সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অক্ষুণ্ন থাকবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির দায়ে সু চির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বন্দি করে দেশটির জান্তাবাহিনী। সেদিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তাবাহিনী। এরপর থেকেই বন্দি জীবনযাপন করছেন সু চি।
এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা অং সান সু চিকে দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির জান্তাশাসিত আদালত। তার বিরুদ্ধে তোলা পাঁচ অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সু চি।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান এড়াতে জান্তা প্রধানকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সু চি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে সম্মিলিত সাত বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সু চির বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলো।
বর্তমানে সু চিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। জান্তা সরকার সু চিকে আইনি লড়াইয়ের জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতেও দেয়নি। এর আগে সু চিকে বিভিন্ন অভিযোগে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
]]>