মিলারের সেঞ্চুরিও পারল না ভারতের সিরিজ জয় ঠেকাতে
<![CDATA[
ঘরের মাঠে উড়ছে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিলো রোহিত শর্মার দল। লো-স্কোরিং প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ফের ঝড় তুললেন সূর্যকুমার যাদব। আর তাতে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী স্বাগতিক ভারত।
রোববার (২ অক্টোবর) গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভারত। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে গেল স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করে সূর্যকুমার যাদব ও কেএল রাহুলের অর্ধশতক, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার দুটি ৪০ ছাড়ান ইনিংসে ভর করে ভারত সংগ্রহ করে ২৩৭ রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত শতক সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করতে সমর্থ হয়।
এদিন টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
আরও পড়ুন:বুমরাহকে নিয়ে এখনও আশাবাদী বিসিসিআই সভাপতি
তবে টসজয়ী অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল তাণ্ডব শুরু করেন প্রোটিয়া বোলারদের ওপর। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৯.৫ ওভারেই ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যাট হাতে রাহুলই বেশি আগ্রাসী ছিলেন। অন্যদিকে কিছুটা দেখে খেলছিলেন রোহিত। মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত অর্ধশতক তুলে নিতে ব্যর্থ হলেও রাহুল ঠিকই হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক। মহারাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে খেলেছেন মাত্র ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মার।
কাছাকাছি সময়ে দুই ওপেনারকে হারালেও ভারতের রানের গতিতে বাঁধ দিতে পারেনি প্রোটিয়া বোলাররা। বরং ঝড়ের গতি আরও বেড়েছে। সুর্যকুমার যাদব ও বিরাট কোহলি মিলে দক্ষিণ আফ্রিকানদের কচুকাটা করেন। মাত্র ৪০ বলের জুটিতে যোগ করেন ১০২ রান!
আগের ম্যাচে কঠিন উইকেটে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা যাদব আজ ব্যাটিং উইকেট পেয়ে আরও ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হন। মাত্র ২২ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল সমান ৫টি করে চার ও ছয়ের মার। ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে অবশ্য বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন যাদব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান সংগ্রহের পথে তিনিই সবচেয়ে কম বল খেলেছেন। ভেঙে দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অপরাজিত থাকতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন সেনসেশন। রানআউটে কাটা পড়ে তার ইনিংস।
যাদবের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে ক্যামিও খেলেন দীনেশ কার্তিক। ৭ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটকিপার। ২৮ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলিও।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কেশব মহারাজ। রানবন্যার ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেন এই স্পিনার।
জবাব দিতে নেমে পেসার আর্শদীপের তোপে শুরুতেই বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। টেম্বা বাভুমা ৭ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি রাইলি রুশোও। মাত্র ২ রানে দুই উইকেট হারনো প্রোটিয়াদের হয়ে পাল্টা জবাব দিতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রান যোগ করে তারা। তবে শুরুতে দুই উইকেট হারানো দলটি ততক্ষণে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে।
১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে অক্ষর প্যাটেলের শিকার হয়ে ফেরেন মার্করাম।
আরও পড়ুন:৩৬০ দূরে থাক, পাকিস্তানি ব্যাটাররা ১৮০ ডিগ্রিই খেলতে পারে না
তবে এরপর দারুণ এক জুটিতে প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ডি কক ও ডেভিড মিলার। উইকেটে এসে তাণ্ডব চলাতে থাকেন মিলার। যেন সূর্যকুমারের ইনিংসের জবাব দিতেই নেমেছিলেন তিনি। তবে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। মিলারের প্রাণপণ চেষ্টাও পারেনি প্রোটিয়াদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে।
ম্যাচ জেতাতে না পারলেও মিলার তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাত্র ৪৭ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের মার।
৪৮ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডি কক।
ভারতের পক্ষে ৪ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আর্শদীপ। ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
]]>