মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান
<![CDATA[
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর এক বিবৃতিতে এ আহ্বানের কথা বলা হয়। খবর রয়টার্সের
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা বন্ধ করতে এমন আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিবৃতি অনুযায়ী, সামরিক জান্তা সরকার অর্থবহ ও টেকসই উপায়ে দেশ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর যেন রাজস্ব আয় করতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের অভিযোগ, জান্তা সরকার নির্বিচারে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তবে জান্তার দাবি, দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে এমন ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে তার সামরিক বাহিনীর।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে দেশ জুড়ে অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে অর্থনীতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে অর্থ সহায়তা না দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘের
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এমনকি অনেক দেশই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছে।
বিশেষ করে চীন শত্রুতা শেষ করার আহ্বান জানালেও রাশিয়া দেশটির জেনারেলদের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক মিত্র হয়েই কাজ করছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারকে যুদ্ধবিমান ও সাঁজোয়া যান দিয়েছে রাশিয়া। আর যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান সরবরাহ করেছে চীন। এ ছাড়া সার্বিয়া রকেট ও গোলাবারুদ দিয়েছে এবং ভারত একটি দূরবর্তী বিমান প্রতিরক্ষা স্টেশন তৈরিতে সহায়তা করেছে।
]]>




