মুক্তিপণে ফিরল ৬ রোহিঙ্গা, আটক ১

<![CDATA[

কক্সবাজারে টেকনাফের একটি সড়ক থেকে অপহরণে ২১ ঘণ্টা পর ‘তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে’ ফিরেছেন অপহৃত ছয় রোহিঙ্গা। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বেলাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের ঘরে ফিরেছেন ওই ৬ রোহিঙ্গা।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলাম সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতার মোহাম্মদ বেলাল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকার জালাল আহমদের ছেলে। আর উদ্ধাররা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা আমির হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ ফরোয়াজ (৩৮) ও তার ভাই মোহাম্মদ জোহার (৩০), মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ নুর (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল হক (৩০), ইউছুফ আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৫) এবং একই ক্যাম্পের সি-ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (১৯)।

আরও পড়ুন: টেকনাফে ৬ রোহিঙ্গাকে অপহরণ

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফের চাকমারকূল ২১ নম্বর ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গা দিনমজুরি কাজের জন্য ঘর থেকে বের হন। তারা কাঁটাতারে ঘেরা ক্যাম্পের চোরাই পথ দিয়ে বের হয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কে (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) উঠেন। এক পর্যায়ে উলুবনিয়া স্টেশনে পৌঁছার আগেই অটোরিকশা যোগে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে টেকনাফের হ্নীলা এলাকার দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

স্বজনদের বরাতে এপিবিএন জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ওই রাতেই অপহৃতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শনিবার সকালে অপহৃত ৩ জনের স্বজনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহৃতদের উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এএসপি মঞ্জুরুল বলেন, শনিবার বিকেলে অপহৃতের স্বজনরা অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিজেদের ঘরে ফিরেন তারা।

আরও পড়ুন: বান্দরবানের পাহাড়ে আরও ৫ জঙ্গি গ্রেফতার

‘অপহৃতরা ক্যাম্পে ফিরে আসার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়ার তথ্য জানান।’

এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য মতে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বেলাল নামের স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার বেলালসহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মঞ্জুরুল ইসলাম।

]]>