মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি
<![CDATA[
সরকারের অর্থায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
অভিযোগের তদন্ত করতে সংসদ সচিবালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
জানা যায়, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে লালমনিরহাট জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাধি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়া ও নামফলক মুছে যাওয়ার একটি ছবি নিয়ে আলোচনা উঠলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কবর বাঁধাই করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে নিম্নমানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যে নামফলক মুছে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বাঁধাই করার পর কবর ভেঙে পড়ছে। আমরা বলেছি এটা চলবে না।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর
তিনি আরও বলেন, উন্নতমানের ম্যাটেরিয়াল ও নামফলকে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। আমরা এসব কবর সরেজমিনে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। ঘটনার তদন্ত করতে বলেছি। আমি নিজেও কোথাও গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করছি। কাজের মান যাচাই করি।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের গচ্ছিত অর্থে তেজগাঁওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ আসে বৈঠক থেকে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে: হাইকোর্ট
বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলামের দুর্নীতি সংক্রান্ত সব তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার যাবতীয় পেনশন ও অন্যান্য সুবিধাদি বন্ধ রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এ বি তাজুল ইসলাম, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।
]]>




