মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়াচ্ছে পাকিস্তান
<![CDATA[
এবার মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন করে ১৭ শতাংশ সুদ নির্ধারন করা হয়েছে। যা দেশটির গেল ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভ সংকট ও ভয়াবহ বন্যায় দিন দিন আরো ভয়াবহ আকার ধারন করছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট। বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভে যে পরিমাণ অর্থ আছে সেগুলো দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহ বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৪ সালের পর যা সর্বনিম্ন। ডলারের ঘাটতি এতটাই তীব্র যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতেও বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তান সরকারকে। এতে সাধারণ মানুষ ওষুধ পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এরইমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন হাহাকার চলছে। বর্তমানে পাকিস্তানে সাধারণ দোকানে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ রুপিতে। এতে রাস্তার পাশে কম দামে আটা কিনতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তানজুড়ে হাহাকার
রিজার্ভ কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নজিরবিহীন বন্যার জেরে টালামাটাল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশটির গৌরবখ্যাত তুলা বুনন শিল্পের অবস্থাও শোচনীয়। এ শিল্পে নিয়োজিত অন্তত ৭০ লাখ কর্মী হারিয়েছেন চাকরি। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। সবকিছু মিলিয়ে পাকিস্তানজুড়ে চলছে হাহাকার।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে, ২০১৪ সালের পর যা সর্বনিম্ন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের পণ্য আমদানি করতে পারবে ইসলামাবাদ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এরই মধ্যে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর।
আরও পড়ুন: গ্রিড বিপর্যয়, অন্ধকারে গোটা পাকিস্তান
বর্তমানে ডলার ঘাটতি এতটাই তীব্র যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতেও বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তান সরকারকে। এতে সাধারণ মানুষ ওষুধও পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
]]>