‘মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ঘাটতি পাকিস্তানকে মানবাধিকার সংকটের দিকে নিচ্ছে’
<![CDATA[
মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি, বাজে বিতরণ ব্যবস্থা ও গণছাঁটাই দেশকে ক্রমাগত ‘মানবাধিকার সংকটের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। দেশটিতে চলমান আটার সংকটের মধ্যেই এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করল পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন।
এর আগে দেশটির মিরপুরখাস অঞ্চলে সিন্ধু সরকারের ভর্তুকি মূল্যের আটা কিনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে হারসিং কোহলি নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন বিশ্বাস করে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি, বাজে বিতরণ ব্যবস্থা এবং গণছাঁটাই দেশকে মানবাধিকার সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক হারসিংয়ের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ছলচাতুরি ছাড়া আর কিছু না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছয় সন্তানের জনক হারসিংই খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রথম বা শেষ দুর্ঘটনা হবে না, যদি না সরকার সারা দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য বিতরণকে অগ্রাধিকার দেয়।
আরও পড়ুন : ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তানের অর্থনীতি
জানা যায়, দুটি ছোট ট্রাকে সিন্ধু প্রদেশ সরকারের ভর্তুকি মূল্যের ৪০০ ব্যাগ আটা বিক্রি করা হচ্ছিল স্থানীয় গুলিস্তান-ই-বালদিয়া পার্কের বাইরে। লোকজন ১০ কেজি করে আটা কিনতে গাড়ি দুটির পাশে জড়ো হয়ে একে অন্যকে ঠেলতে থাকে সামনে যেতে। এতে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক সময় ৪০ বছর বয়সী শ্রমিক হারসিং রাস্তায় পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারসিংয়ের পরিবার এই ঘটনায় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া সিন্ধু প্রদেশের অন্যান্য স্থানেও ছোট ট্রাক বা ভ্যানে করে ভর্তুকি মূল্যের আটা বিক্রির সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যেমন সাকরান্দ শহরের শহীদ বেনজিরাবাদের এক আটা মিলের বাইরে সরকারি মূল্যে আটা কিনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে দুই নারী এবং এক সংখ্যালঘু মেয়ে আহত হয়েছেন।
]]>




