বিনোদন

মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখার আহ্বান মেয়র আতিকের

<![CDATA[

স্বপ্নের মেট্রোরেলকে জনগণের সম্পদ উল্লেখ করে এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয়ের মাসে আমাদের মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। অনেকে বলছিল, এগুলো সম্ভব হবে না। কিন্তু আজ সম্ভব হয়েছে। তাই কারও কথায় কান দেয়া যাবে না। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সবার। দয়া করে মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখুন, ট্রেন, বাথরুম, প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার রাখুন। আমরাইতো ব্যবহার করব। এর সুফলতো আমরাই পাব। আমাদেরই সম্পত্তি। এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও আমাদের দায়িত্ব।’

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মহাখালী টিঅ্যান্ডটি মাঠে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিত্যক্ত প্রায় অর্ধকোটি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা নানা প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এ সব কথা বলেন মেয়র আতিক।

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন ‘Save Earth Save Bangladesh’ শিরোনামে ৯ দিনব্যাপী এ বোতল প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে মেয়র আতিক বলেন, প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানিগুলো কোমল পানীয় বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে এটা হতে পারে না। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে জনগণকেও যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল ফেলা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ড্রেন বা লেক পরিষ্কার করতে গেলে আমরা বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পাই। এসব প্লাস্টিকের কারণে ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও সুয়ারেজ লাইনে পয়ঃবর্জ্যের লাইন দেয়া হয়েছে। ৪ জানুয়ারি গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় অভিযান চালাব।’

প্রাণীর উপকারিতা তুলে ধরে মেয়র আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজনেই জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, মাছ, বৃক্ষ সবই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা নির্দয় হয়ে এগুলো ধ্বংস করছি। যারা ধ্বংস করছে তারা চিন্তা করেন না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, তারা চিন্তা করেন না লাল-সবুজের পতাকার। তারা চিন্তা করেন না কষ্টার্জিত এই দেশটার। দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারে না।’

বিডি ক্লিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘বিডি ক্লিন শুধু নামে না, কথায় না, কাজের মাধ্যমে, ত্যাগের মাধ্যমে, কষ্টের মাধ্যমে তাদের অবস্থান প্রমাণ করেছে। বিডি ক্লিনের সদস্যরা নিজেদের খেয়ে পরের মহিষ তাড়িয়ে তারা পরিবেশের জন্য কাজ করছে। এই ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্ত না হয়ে, ঘরে বসে স্মার্ট ফোনে সময় নষ্ট না করে দেশকে, শহরকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিই প্রশংসনীয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিডি ক্লিন বর্তমানে একটি ব্র‍্যান্ড। এটি ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।’

এসময় বিডি ক্লিনকে ১০ লাখ টাকার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র। সবশেষে মেয়র দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও দেশের আইন মেনে দেশসেবার জন্য বিডি ক্লিনের সদস্যদের শপথ পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন, ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!