বিনোদন

মেধা বিকাশে শিশুকে যেভাবে ডিম খাওয়াবেন

<![CDATA[

মেধার সঠিক বিকাশের জন্য শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেধা বিকাশে এই সময়ে তাই শিশুর খাবার নির্বাচন করতে হবে অনেক ভেবে চিন্তে।

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছে, সারাবিশ্বে শিশুর মেধা বিকাশে সুপার ফুড হিসেবে কাজ করে ডিম। ডিমের পুষ্টিগুণ শিশুর শুধু মেধাই বিকাশ করে না চোখেরও শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন, শরীর কিংবা মস্তিষ্ক অচল হতে চলেছে আপনার!

অনেক শিশুরই ডিম খেতে অনীহা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বাবা মারা যে ভুলটি প্রায়ই করেন সেটি হলো দুধের সঙ্গে কাঁচা ডিম ব্লেন্ড করে খাওয়ান।

অনেকে আবার পুডিং বানিয়ে শিশুর ডিমের চাহিদা পূরণ করতে চান। তবে এভাবে ডিম খাওয়ালে তা কোনো কাজেই আসবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, আধা সিদ্ধ ডিমও ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে কোমলমতী শিশুর ক্ষেত্রে। সঠিক উপায়ে ডিম না খেলে শিশু প্রায়েই বদহজম, বমি, পেটে গ্যাস, ডায়রিয়া, দীর্ঘকালীন পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগতে পারে।

তাই প্রতিটি বাবা মাকেই  সঠিক উপায়ে শিশুকে ডিম খাওয়াতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে শুধু কুসুমটুকু খাওয়াতে হবে।

এই কুসুম ভাত, সবজি কিংবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।  এই বয়সে কোনোভাবেই শিশুকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যাবে না।

শিশুর ১ বছর পূর্ণ হলে সম্পূর্ণ ডিমই শিশুকে খাওয়ানো যাবে। মেধার সঠিক বিকাশে শিশুকে এই বয়সে প্রতিদিনই একটি করে ডিম খাওয়ান।

আরও পড়ুন: মন মেজাজ খারাপ থাকলে যে কারণে কলা খাবেন!

১ বছরের উপর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত শিশুর প্রতিদিনের প্রোটিন চাহিদা থাকে ১৪ গ্রাম। সাধারণত একটি সিদ্ধ ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যদি শিশুর ডায়েটে এই সময়টাতে ডাল, মাংস বা মাছ রাখা হয় তবে ডিম খাওয়া রেসিওতে অদল বদল করুন।

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!