মেসির মিস, নেইমারের গোলে পিএসজির জয়
<![CDATA[
লিগ ওয়ানে মার্শেইয়ের বিপক্ষে গোলের উদ্দেশে ছয়টি শট নিয়েও ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। অন্যদিকে একমাত্র সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে জয় উপহার দিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র।
পার্ক দে প্রিন্সেসে রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতের ম্যাচটি পিএসজি জিতেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩ ম্যাচ পর তারা পেল জয়ের দেখা।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর আক্রমণ পিএসজির। প্রথম পাঁচ মিনিটেই তারা তিন বার গোলের উদ্দেশে শট নেয়। এর মধ্যে দুইবারই লিওনেল মেসির শট ফিরিয়ে দেন মার্শেইয়ের গোলরক্ষক পাও লোপেজ। আরেকবার আশরাফ হাকিমি গোলবারে লোপেজকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি। শুরুর চাপ সামলে মার্শেইও চালায় পাল্টা আক্রমণ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফের গ্রেফতার ম্যানইউ তারকা
প্রথমার্ধের তাদের নেয়া ৮ শটের তিনটিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু তারা পরাস্ত করতে পারেননি পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মাকে। প্রথমার্ধে অবশ্য ডোনারুম্মার চেয়ে পোলেজকেই বেশিবার পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রতিবারই অবশ্য তিনি সচেষ্ট ছিলেন নিজেদের বার রক্ষায়। গোলের উদ্দেশে প্যারিসিয়ানদের হয়ে এমবাপ্পের নেয়া চতুর্থ শটটি দারুণ নৈপুণ্যে ফিরিয়ে দেন এ স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ৩৫ মিনিটে অবশ্য গোলবারও তার হয়ে পিএসজিকে বাধা দেয়। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেয়া মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক শট ফিরে আসে বারে লেগে।
এরপর পিএসজির আরও একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন লোপেজ। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত মিনিটে তাকে হার মানতে হয় নেইমারের কাছে। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাম কর্নারে থাকা এমবাপ্পের উদ্দেশে পাস দেন মারকুইনস। বল দখলে নিয়ে আলতো ছোঁয়ায় ডি বক্সে ঢুকে পড়া নেইমারের উদ্দেশে পাস দেন ফরাসি তারকা। সেখান থেকে মার্শেইয়ের গোলরক্ষকে পরাস্ত করে ঠিকানা খুঁজে নেন নেইমার।
৫০তম মিনিটে ডোনারুম্মা নৈপুণ্যে গোল হজম থেকে রক্ষা পায় পিএসজি। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের উপেক্ষা করে এমবেম্বা ওয়ান টু ওয়ান শট নেন। এগিয়ে এসে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন ডোনারুম্মা। গোলবারে প্রবেশের পথে তার পায়ে বাধা পেয়ে বল বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। ৫২ মিনিটে সমতায় ফেরার আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় মার্শেইর।
আরও পড়ুন: সালাহর গোলে জয়ে ফিরল লিভারপুল
বিরতির পর আক্রমণে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার ২৩ মিনিট পর গোলের উদ্দেশে পিএসজির হয়ে এমবাপ্পে প্রথম শট নেয়। কিন্তু তিনি পরাস্ত করতে পারেননি লোপেজকে। দুই মিনিট পর ব্যর্থ হন হাকিমিও। এক গোলে পিছিয়ে থাকা মার্শেই ম্যাচের ৭২ মিনিটে বড় হোঁচট খায়। নেইমারকে বাজেভাবে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন স্যামুয়েল জিগট। ১০ জনের দলে পরিণত হয় মার্শেই। তাতেও অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এমবাপ্পে-নেইমাররা।
দুই ম্যাচ বিশ্রামে থাকার পর মাঠে ফেরা আর্জেন্টাইন তারকাকে ৭৮ মিনিটে তুলে নেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। তার বদলি হিসেবে নামেন পাবলো সারাবিয়া। তার ১০ মিনিট পর তুলে নেয়া হয় নেইমারকেও। বদলি হিসেবে নামেন সোলার। তবে শেষ কয়েক মিনিটে তারা কোনো চমক দেখাতে পারেননি। ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় গালতিয়ের শিষ্যদের। এ জয়ের শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো প্যারিসিয়ানদের।
১১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট পিএসজির। সমান ম্যাচে তিন পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লরিয়েন্ট। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে মার্শেই।
]]>




