মেসি-নেইমারদের রুখে দিল রেঁস
<![CDATA[
তারকার মেলা রয়েছে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। কে নেই ক্লাবটিতে? স্ট্রাইকার হিসেবে রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি, ব্রাজিলের বর্তমান সেরা তারকা নেইমার জুনিয়র, ফ্রান্সের গতিমানব কিলিয়ান এমবাপ্পে, মরক্কোর তারকা আশরাফ হাকিমিসহ রক্ষণভাগের মার্কুইনহোস, সার্জিও রামোসের মতো সুপারস্টাররা। তারাই কিনা থমকে গেলেন তুলনামূলক দুর্বল স্টেড ডি রেঁসের বিপক্ষে? এমনটিই ঘটেছে লিগ ওয়ানের খেলায়। ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে মেসিদের দল।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হয় পিএসজি ও রেঁস। লিগ ওয়ানের এই খেলায় হিসাবের দিক থেকে অনেক এগিয়ে পিএসজি। তবু অপেক্ষাকৃত দুর্বল রেঁসের বিপক্ষে খেলতে নেমে যেন কালঘাম ছুটে যায় মেসিদের। প্রথমার্ধে কোনোরকম গোলশূন্য সময় পার করে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-নেইমাররা একটি গোল পেলেও শেষ মুহূর্তে রেঁসের গোলে ১-১ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল।
আরও পড়ুন: প্রথম গোল করলেন নেইমার, লাল কার্ড পেল পিএসজি
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। ৩ মিনিটে আশরাফ হাকিমির বাড়ানো বলে দারুণ সুযোগ পান মেসি। কিন্তু মেসির ডান পায়ের নেয়া শটটি গোল বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই আক্রমণ শুরু করে রেঁস। কখনও ফোলারিন বালোগুন, কখনও জুনিয়া ইতো মিলে আক্রমণ শাণিয়ে যেতে থাকেন।
রেঁসের আক্রমণে পিএসজি কিছু সময়ের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ে। ২৫ মিনিটে ইতোর সহায়তায় গোলমুখে শট নেন মার্শাল মুনেতসি। তবে সে যাত্রায় লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে স্বস্তি পায় পিএসজি। ২৯ মিনিটে মুনেতসি আবারও কাঁপন ধরিয়ে দেন নেইমার-এমবাপ্পে শিবিরে। কিন্তু মন্দ কপাল নিয়ে গোল শূন্য থাকতে হয় রেঁসকে।
৩৮ মিনিটে অ্যালেক্সিস ফ্লিপসের পাসে বল পান মুনেতসি। তৈরি হয় গোলের সুযোগ। তবে ডান পায়ের শট জালের খোঁজ পায়নি। রেঁসের এতগুলো আক্রমণের বিপরীতে মেসিদের দেখা যায় নিষ্প্রভ। হতাশ দেখা যায় পিএসজির বড় বড় তারকাদের। সেই হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতির জন্য মাঠ ছাড়ে দুদল।
বিরতি শেষে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। সেই লড়াইয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি বল নিয়ে এগিয়ে যান রেঁসের ডি-বক্সে। সেখানে মেসির আক্রমণ প্রতিহত করেন বিপক্ষ শিবির। তবে নেইমার ছুঁটে এসে জুয়ান বার্নাটের পাসে গোলরক্ষকসহ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে জালে বল জড়ান। পিএসজি পেয়ে যায় লিড গোল।
আরও পড়ুন: বাফুফের নারী ক্যাম্পে জাপানি বংশোদ্ভূত ফুটবলার
তবে গোলের কয়েক মিনিট পরে ঘটে যায় বিপত্তি। পিএসজির ডি-বক্সের সামনে রেঁসের খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসেন মার্কো ভেরাত্তি। রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড এবং ভিএআর পরীক্ষা করে লাল কার্ড দেন ভেরাত্তিকে। তাতে ৫৯ মিনিট থেকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। এ সময়ে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে রেঁস।
এ দিকে এক গোলে এগিয়ে থেকে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। এমন কয়েকটি সুযোগও পায় ক্লাবটি। ৬২ মিনিটে এমবাপ্পে, ৬৪ মিনিটে একাধিকবার সার্জিও রামোস, ৮০ মিনিটে আবারও এমবাপ্পে এবং ৮৩ মিনিটে মেসি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। তাতে ব্যবধান আর বাড়ানো হয়নি দলটির।
এর মধ্যে ১০ জনের পিএসজি শিবিরে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে রেঁস। আর তাতে সফলও হয়েছে দলটি। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তারা দেখে সফলতার মুখ। কমরি ডুম্বিয়ার থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত কৌশলে পিএসজি রক্ষণভাগ ফাঁকি দিয়ে গোলরক্ষক ডোনারুম্মাকে বোকা বানিয়ে জালে বল জড়ান ফোলারিন বালোগুন। তাতে ১-১ গোলের সমতা ফেরে খেলায়। এরপরেই বেজে ওঠে শেষ বাঁশি।
আরও পড়ুন: রেফারি সব সময় রিয়ালকে বেশি সুবিধা দেয়
তালিকার শীর্ষ দলের বিপক্ষে ড্র করে একধাপ কমে ১১তম অবস্থানে এসেছে স্টেড ডি রেঁসে। ২০ ম্যাচ শেষে ৫ জয়, ১১ ড্র ও ৪টি হার নিয়ে তাদের পয়েন্ট এখন ২৬। আর ২০ ম্যাচে ১৫ জয়, ৩ ড্র ও ২টি হার নিয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৪৮।
]]>