মেয়েদের ফুটবল লিগে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
<![CDATA[
বাফুফের নারী ফুটবল লিগ খেলতে দল গড়ে চমক দেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সব নিয়ম মেনে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় ৫ম ওমেন্স ফুটবল লিগে অংশ নিতে বাফুফেতে আবেদন করেছে বাহিনীটি। তবে, বসুন্ধরা কিংস ছাড়া নারী ফুটবল লিগ খেলতে আবেদন করেনি বিপিএলের আর কোন ক্লাব। আবেদনকারী ২০ টি দল থেকে যাচাই বাছাই শেষে ৮-১০টি দলকে সুযোগ দেয়া হবে লিগ খেলতে। সবগুলো ম্যাচ হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে।
সাফে মালদ্বীপ-পাকিস্তানকে ৫-৬ গোলের হারানো সাবিনাদের সাফল্য ইর্ষণীয়। কিন্তু নারী ফুটবলের উন্নয়নে বরাবরই উদাসীন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫ম ওমেনস ফুটবল লিগে অংশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি এক বসুন্ধরা কিংস ছাড়া অন্য কেউই।
নারী লিগে অংশ নেয়ার আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে ২৫ আগস্ট। আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ২০টি। সেখানে প্রথম সার্ভিসেস দল হিসেবে নারী ফুটবল দল গড়ে চমক দেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফিফা-এএফসির নিয়ম মেনে এগোচ্ছে তারা। এই ফুটবল দলে খেলুড়ে নারী ফুটবলাররা পেতে পারেন সরকারি চাকরি।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের দিকে দৃষ্টি সাবিনাদের
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওমেন্স ফুটবল লিগে অংশগ্রহণ করার জন্য বাফুফের কাছে চিঠি দিয়েছে এবং তারাও আমাদের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে। যেহেতু একটা সার্ভিসেস দল, সেনাবাহিনীর ফুটবল দল গঠনের বিষয়ে এরই মধ্যে বাফুফের পক্ষ থেকে এটা নিয়ে আমাদের সম্মানিত সভাপতি মহোদয়ের সঙ্গে তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন, মৌখিক কথাবার্তাও হয়েছে। বাফুফের পক্ষ থেকে আমরা তাদের পজিটিভ ফিডব্যাক তথা সাধুবাদ জানিয়েছি।’
প্রায় ২০ টি দল থেকে যাচাই-বাছাই আর শর্তপূরণকারীদের মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত ৮-১০ টি দলকে সুযোগ দেয়া হবে নারী ফুটবল লিগে খেলতে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে হবে সব ম্যাচ। সোহাগ আরও বলেন, ‘যারা পেশাদার ফুটবল লিগে খেলবে অবশ্যই একটা মহিলা ফুটবল দল থাকতে হবে। ফিফা বা এএফসি ডিসিশন নিয়েছে যে, প্রফেশনাল ফুটবলে ওমেন্স ফুটবল রিপ্রেজেন্টেশন বা প্রফেশনাল ফুটবল লিগের দলবদলে দলগুলোকে, একটি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দলগুলোকে ওমেন্স ফুটবলে কন্ট্রিবিউশনেও মনযোগী হতে হবে।’
বিপিএলে খেলা ক্লাব গুলোর নারী ফুটবল দল থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ২০২৪ এর মধ্যে। ক্লাবগুলো এগিয়ে এলে আদতে এশিয়ার নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপেও রাজত্ব করার সম্ভাবনা বাড়ত বাংলার নারীদের।
]]>