মেয়েরা আস্থার প্রতিদান দেয়ায় খুশি কোচ ছোটন
<![CDATA[
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর এবার লক্ষ্য আরও উপরে। পুরো এশিয়াতে দাপট দেখাতে চান বাফুফে সভাপতি। মেয়েদের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে নতুন পরিকল্পনা তার। এদিকে মেয়েরা আস্থার প্রতিদান দেয়ায় খুশি কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন।
দশরথ রঙ্গশালায় ফুটবলের রংয়ে মাতিয়ে ঢাকায় বাংলার স্বর্ণকণ্যারা। একটা শিরোপা পুরো জাতিকে গেথেছে এক সূতোয়। সানজিদাদের ছাদখোলা বাসে বিজয়উৎসবের জোয়ারে ভেসেছে পুরো দেশ। বিমানবন্দর থেকে সে জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে। রাজসিক সংবর্ধনার পর ফুটবল ফেডারেশনে পা রাখার পর সমর্থকদের ভালবাসায় সিক্ত হন ফুটবল যোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: যে কারণে চেয়ারে জায়গা হয়নি সাফজয়ী কোচ-অধিনায়কের
সারা শরীরে ক্লান্তির ছাপ নিয়েই সমর্থকদের ভালবাসার জবাব দিয়েছেন সাবিনা-মারিয়ারা। পরম মমতায় ফুটবলারদের বরণ করে নেন বাফুফে সভাপতি। সোনার মেয়েদের নিয়ে তার স্বপ্নের পরিধি এখন আকাশ ছোয়ার।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি তাদের পরের ধাপের দিকে তাকিয়ে আছি। দক্ষিণ এশিয়া ছেড়ে এবার আমরা পুরো এশিয়ায় রাজত্ব করতে চাই। এটার জন্য আমরা বেশ বড় পরিকল্পনা করেছি। তবে আমি অপেক্ষা করছি তহবিলের জন্য। এরপর আমরা থাইল্যান্ড, কোরিয়া, জাপানের সঙ্গে খেলব। খেললে হয়তো দু-চার গোলে হারব। তবে তাদের সঙ্গে খেলাটাই আমার পরবর্তী কর্মসূচি।’
দেশের মানুষের কাছ থেকে ভালবাসায় অভিভূত সাবিনারা। শীষ্যদের প্রতি আগে থেকেই ভরসা ছিলো কোচের। সে আস্থার প্রতিদান দেয়ায় খুশি দলের কান্ডারী কোচ ছোটন।
বাংলাদেশের নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন বলেন, ‘সবসময় মেয়েদের আমি বলে এসেছি হার্ড ওয়ার্ক করতে। একটা সময় হয়তো তাদের খারাপ লাগতো। তবে এখন এই সাফল্যের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমি কেন মেয়েদের হার্ড ওয়ার্ক করতে বলতাম। তাদের প্রতি আগে থেকেই আমার বিশ্বাস ছিল যে তারা পারবে। আমার আস্থার প্রতিদান দেয়ায় আমি বেশ খুশি।’
আরও পড়ুন: ট্রফি উল্লাসে মেতেছে দেশ, রাজসিক সংবর্ধনা সাবিনাদের
২০০৩ সালে পুরুষদের সাফ জয়ের পর ফুটবলে বড় সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আরেকটি সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ১৯ বছর।
]]>