মোটা ধানের দাম বাড়লেও কমেছে সুগন্ধি জাতের
<![CDATA[
নওগাঁর হাটে আউশ ধানের সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদা থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে মোটা ধানের দর ৬০ থেকে ৭০ টাকা বাড়লেও সুগন্ধি জাতের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাষিদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এক মাস আগে কৃষকের ঘরে আউশ ধান উঠছে। তারা সেসব ধান বিক্রির জন্য নওগাঁর মহাদেবপুর হাটে তোলেন। হাটে সব ধরনের ধানের সরবরাহ বেড়েছে। মৌসুম শেষ তাই মিল পর্যায়ে ধানের চাহিদা রয়েছে। এতে হাটে মোটা জাতের ধানের দাম মণপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। তবে সুগন্ধি জাতের ধানের দাম মণপ্রতি ১০০ টাকা কমেছে।
এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, দফায় দফায় কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে। তার ওপর উৎপাদিত ধান হাটে তোলার পর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থায় তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না।
এ নিয়ে একজন কৃষক বলেন, গত হাটে চিকন কাটারিভোগ নিয়ে এসেছিলাম, তা ১ হাজার ৬৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু আজকে বাজারে তা ১ হাজার ৫৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম আরেকটু বাড়ানো জরুরি, বর্তমান বাজার দরে আমাদের পুষাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো আজ ১০ টাকা কাল ২০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে, আবার কমিয়ে দিচ্ছে, তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তারাই সবকিছু।
আরও পড়ুন: বগুড়ার ডিম সিন্ডিকেটে আবারও কাজী ফার্মসের নাম!
অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুগন্ধির জাতের চাল কম বিক্রি হচ্ছে, তাই দাম কমেছে। অন্যদিকে মোটা চালের চাহিদা থাকায় মোটা ধান বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁর মহাদেবপুর আশা চাল কলের পরিচালক তাপস কুমার কুন্ডু বলেন, মিলে ধানের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু বাজারে সরবরাহ কম। আতপ ধানের সরবরাহ থাকায় দাম একটু কম। তবে পারিজা ধানের দাম বেশি।
হাটে রোপা আউশ পারিজা ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা, নাজিরশাইল ১ হাজার ৪৫০ টাকা, কাটারিভোগ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা, মিনিকেট ১ হাজার ৪৫০ টাকা এবং সুগন্ধি চিনি আতপ ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে কিনছেন মিলাররা।
]]>




