মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র, ভিত্তিহীন বলছে ভারত
<![CDATA[
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে করা বিবিসির তথ্যচিত্রের তীব্র সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে গোটা ভারতে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। নির্মাতারা জানান, মোদি ও দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্কের বিষয়টিই তথ্যচিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়েও রয়েছে অনুসন্ধান।
ওই তথ্যচিত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষোভ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। দুই পর্বের এই ধারাবাহিককে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মী সমর্থকদের মোদির নির্দেশনা
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠতার চরম অভাব রয়েছে। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। তথ্যচিত্রটিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা রীতিমতো পক্ষপাতদুষ্ট।
এদিকে, নয়াদিল্লির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সুনাক বলেন, ডকুমেন্টারিতে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরা হয়েছে এর সঙ্গে তিনি একমত নন।
আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র পর কী, জানাল কংগ্রেস
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি ইমরান হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। আর এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ব্রিটেন সরকার সবসময়ই যেকোনো ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে। তবে, এখানে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তার সঙ্গে একমত নন বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
২০০২ সালে গুজরাটের ভয়াবহ দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে সেই মোদিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সুপ্রিম কোর্টও গুজরাট দাঙ্গার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন মোদিকে।
]]>




