যুক্তরাষ্ট্রের করা সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় এবার ‘ওয়্যাগনার’
<![CDATA[
ইউক্রেনজুড়ে নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাশিয়ার ‘ভাড়াটে সেনা’ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়্যাগনার গ্রুপকে এবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, সংগঠনটিকে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউস।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ঘুরেফিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে মস্কোর ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী সংগঠন ওয়্যাগনার। সংগঠনটিকে এবার ‘ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ বা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: এ বছরও শেষ হচ্ছে না ইউক্রেন যুদ্ধ: জেনারেল মার্ক মিলি
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মালিকানাধীন সংগঠন ওয়্যাগনার থেকে অন্তত ৫০ হাজার সেনাকে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই রাশিয়ার কারাগারগুলো থেকে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। ভাড়াটে এসব সেনাই ইউক্রেনজুড়ে নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বলে জানানো হয়।
শুধু তাই নয়, ওয়্যাগনারকে যারা সহায়তা করছে তাদের চিহ্নিত করে প্রকাশ্যে আনতে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে বাইডেন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান কিরবি।
হোয়াইট হাউসের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য ওয়্যাগনারকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে উত্তর কোরিয়া। এ বিষয়ক বেশ কিছু ছবিও সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন জন কিরবি।
এদিকে ওয়্যাগনারকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী তাদের নেটওয়ার্ক সংকুচিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে, আফ্রিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ওয়্যাগনারের ভাড়াটে সেনা সরবরাহের ব্যবসা ব্যাহত হবে বলেও মত তাদের।
তবে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওয়্যাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ‘সহকর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করে অপরাধ দমনে তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে পুরোপুরি অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন ওয়্যাগনার প্রধান।
আরও পড়ুন: ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ ন্যাটো, লোপার্ড ট্যাঙ্ক পাচ্ছে না ইউক্রেন
এতদিন নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করলেও, গেল নভেম্বরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সদর দফতর খোলার কথা জানায় ওয়্যাগনার। এর আগে, ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সংগঠনটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
]]>