যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা, হাত মেলাচ্ছে চীন-সৌদি
<![CDATA[
যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের অবনতির মধ্যে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে রিয়াদ। চলতি সপ্তাহেই সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাকে স্বাগত জানাবেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এ সফরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে বলে রোববার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি শক্তি ব্যবহার করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নেতা’ হয়ে উঠতে চাইছেন যুবরাজ সালমান।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর সৌদি-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর দীর্ঘদিন আলোচনার বাইরে থাকলেও, সম্প্রতি বিশ্বমঞ্চে আবারও হাজির হয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনার ইস্যুতে মার্কিন অনুরোধ না মানায় রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাই এবার চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর পথে হাঁটছেন সালমান।
তেল ইস্যুতে পশ্চিমা মিত্রদের ইচ্ছার বিরোধিতা করে বিশ্বের কাছে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চাইছে রিয়াদ। আরব বিশ্বের উদীয়মান নেতা হিসেবে নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এবার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি সম্মেলন আয়োজন করছেন সৌদি যুবরাজ। চীন-আরব সম্মেলন নামের এই আয়োজন চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকটে বছরের পর বছর ভুগবে ইউরোপ!
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট এমন সময় সৌদি আরব সফর করবেন যখন বিশ্বের জ্বালানি বাজারে অনিশ্চয়তা এবং রুশ তেলের মূল্য বেধে দিয়েছে পশ্চিমারা। আর মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের বিষয়তো রয়েছেই।
চীনা প্রতিনিধিদল সৌদি আরবের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। জ্বালানি, নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ খাতে এসব চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করাকে রিয়াদ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সৌদির হাতে পশ্চিমাদের বিকল্প আছে- এ বিষয়টি জানান দিতেও রিয়াদ বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকছে বলে ধারণা অনেকের।
]]>




