রংপুরে অটোচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২
<![CDATA[
রংপুরে অটোচালক সুলতান মিয়াকে গলা কেটে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের মামলায় প্রধান আসামি ও সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর নগরীর পার্কের মোড় থেকে প্রধান আসামি সুজন চৌধুরী এবং সহযোগী মমিনুর রহমানকে লালমনিরহাটের কাকিনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সুজন রংপুর নগরীর আশরতপুর ইদগাহপাড়ার মৃত বাবলু চৌধুরীর ছেলে এবং মমিনুর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার কাকিনা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব ১৩ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সুলতান মিয়া অটোরিকশা নিয়ে বিকেল ৩টায় নিজ বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরের ভাংনী গ্রাম থেকে রংপুর শহরের দিকে বের হয়। কিন্তু সেদিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া পান। পরদিন সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের পশ্চিম ইশোরকুল হাইস্কুল সংলগ্ন একটি ক্যানেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুলতানের মরদেহ শনাক্ত করে ছোট ভাই শরিফুল।
পরে সুলতানের বাবা বাদী হয়ে হত্যাসহ ঘটনার আলামত গোপন করেছে মর্মে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে রংপুর নগরীর পার্কের মোড় থেকে এই ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুজন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সুজন চৌধুরী তার সহযোগী মমিনুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
আসামিদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় সুলতান মিয়াকে অটোর চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘুরবেন এই চুক্তিতে রিজার্ভ করেন সুজন ও মমিনুর। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুলতানকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তা খাইয়ে অজ্ঞান করে। পরে তারা কালীগঞ্জের ইশোরকোল ক্যানেলের পাড়ে নিয়ে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টায় ছুরি দিয়ে সুলতানের গলা কেটে মৃতদেহ ক্যানেলে ফেলে দেয়।
আসামিদের দেয়া তথ্য মতে, অটোরিকশাটি ১৭ হাজার টাকায় কালীগঞ্জের স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে তারা। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থলের পাশের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়।
]]>




