রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ১০
<![CDATA[
শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়েই বিপত্তি। একদিনে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
শীত শুরু হলেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ে। প্রতিবছরের মতো এবারও আগুন পোহাতে গিয়ে একদিনে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সবাই বৃদ্ধা। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২ জন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহীন শাহ্ বলেন, ‘শীতের শুরুতে রংপুর অঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে মানুষ অগ্নিদগ্ধ হচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যান। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শীতের সময় গ্রামপর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করা উচিত। সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, গত বছর শীতে জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে অগ্নিদগ্ধের খবর ছিল অনেক বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭। দগ্ধ রোগীর সংখ্যা ছিল ৭০।
আরও পড়ুন: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২৪ জন হাসপাতালে
সূত্রটি আরও জানায়, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২৬ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া চুলায় রান্না ও গরম পানি বহন করতে ১৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শরীরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। গত ১৫ দিনে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ২৫৪ জন। যাদের বয়স এক মাস থেকে দেড় বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে নারীর মৃত্যু
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, রংপুরে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
]]>




