রংপুরে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা
<![CDATA[
গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জবুথবু রংপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ। বৃষ্টির মতো রাতভর ঝরছে কুয়াশা। অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। তীব্র শীত ছড়িয়ে পড়ায় শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রংপুরে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
এদিকে তীব্র কুয়াশার কারণে অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চালালেও শীত ও কুয়াশায় যাত্রী না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি বলেন, রংপুরে এমন শীত এবং কুয়াশা অতীতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে কি না, আমার জানা নাই। আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকেই সবচেয়ে বেশি শীত এবং কুয়াশা পড়েছে। রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবিকার তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু কোনো যাত্রী পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে নীলফামারী
অটোচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে তীব্র শীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরাই ঠান্ডাজনিত রোগ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বেশি।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে এসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ছোট্ট শিশু সিয়াম। সিয়ামের মা রাবেয়া বেগম জানান, গত কয়েকদিন থেকে অনেক বেশি শীতে নিউমোনিয়া হয়েছে তার। এখন চিকিৎসা চলছে তবে আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ আছে সিয়াম।
রংপুর হারাগাছ থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন শামসুল হক নামে এক শ্রমিক। তিনি জানান, শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। দুদিন ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তবে আগের তুলনায় তিনি ভালো আছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি ইউনিট নিয়ে গঠিত মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছেন ৩৭৬ জন। আর দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ২৩১ জন।
]]>