রংপুরে সমাবেশ, লালমনিরহাটে ভোগান্তি
<![CDATA[
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে। বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে ‘প্রশাসনিক হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে করা ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট।
এতে লালমনিরহাটে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। বিভিন্ন বাস টার্মিনালে আটকা শতাধিক বাস। ফলে পথে পথে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। হঠাৎ বাস বন্ধের ঘোষণায় দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরাও পড়েছেন বিপাকে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, লালমনিরহাট থেকে রংপুরে প্রতিদিন প্রায় ৪০টি বাস চলাচল করে। ধর্মঘটের কারণে এসব বাস এখন টার্মিনালে রয়েছে। ধর্মঘট থাকায় দুদিন ধরে যাত্রীরা যেমন দুর্ভোগে, পরিবহন শ্রমিকরাও তেমনি বিপাকে রয়েছেন। কারণ, বাস না চললে মালিকপক্ষ তাদের বেতন দেয় না। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
লালমনিরহাট বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিক সালামত আলী বলেন, ‘আমরা কখনোই চাই না বাস বন্ধ থাকুক। বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা। কিন্তু বাস বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের মতো আমাদেরও কষ্ট হয়।’
আরও পড়ুন: ৭০০ রিকশা-ভ্যানে রংপুরের পথে নীলফামারী বিএনপির নেতাকর্মীরা
লালমনিরহাট শহরের পুরান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল জানান, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তাকে শুক্রবার ট্রেনে রংপুরে যেতে হয়েছে। ট্রেনের বগির মধ্যে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা ছিল না। ট্রেনে এত যাত্রী চলাচল করেছে যে বলে শেষ করা যাবে না। আর রংপুর থেকে ফেরার পথে যথাসময়ে স্টেশনে আসতে না পারায় ট্রেন মিস করেছেন। পরে অনেক কষ্টে ভেঙে ভেঙে বাড়তি খরচে অটোতে এসেছেন।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের
লালমনিরহাট জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আইন করেছে। কিন্তু রংপুরের মহাসড়কগুলোতে এখনো মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এ জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি রংপুরের সব রুটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাটেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, রংপুরে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিতে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সরকারের চাপে বাস মালিকরা বাধ্য হয়েই ধর্মঘট ডেকেছেন। এতে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক এমনকি সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ নিজ দায়িত্বে নানা উপায়ে রংপুরে পৌঁছাতে শুরু করেছেন।
]]>




