রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
<![CDATA[
রাজবাড়ীতে আসফি মেহেনাজ অথই (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন অথইর বাবা মো. আলমগীর মৃধা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) মামলাটি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দা বুশরা মামলাটি আমলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আলমগীর মৃধা রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের বড় নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মামলার আসামিরা হলেন: রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ফজের আলী বেপারি (৪৫) এবং তার দুই ছেলে শুকুর বেপারি (২১) ও সাগর বেপারি (২৩)।
আরও পড়ুন: টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত চার কৃষক, মুক্তিপণ দাবি
আলমগীর মৃধা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে আলীপুর গ্রামের ফজের আলী বেপারির ছেলে শুকুর বেপারি তার মেয়েকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত। তিনি বিষয়টি শুকুরের বাবা ও বড় ভাইকে জানালেও তারা তাকে শাসন করেননি। উল্টো শুকুরের সঙ্গে অথইকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তার মেয়ে নাবালিকা এবং শুকুর বখাটে হওয়ায় ওই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এরপর থেকে ফজের আলী, শুকুর ও সাগর পরস্পরের যোগসাজশে অথইকে ক্ষতি করার পাঁয়তারা করতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৬ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে অথই বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পাশে বাঁধা ছাগল আনতে যায়। এ সময় ফজের আলী, শুকুর ও সাগর জোরপূর্বক অথইকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। এ সময় অথইয়ের চিৎকারে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে দৌড়ে এসে দেখেন ফজের আলী, শুকুর ও সাগর অথইকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছেন।
পরে ফজের আলী ও সাগরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, অথই তাদের হেফাজতে আছে এবং শুকুরের সঙ্গে তারা অথইকে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ সময় তিনি ফজের আলী ও সাগরের কাছে তার মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা রাজি হননি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাকে ‘ছিনতাই’-এর অভিযোগ!
স্কুলশিক্ষক আলমগীর মৃধা বলেন, ফজের আলী, শুকুর ও সাগর তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে কোন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন।
এ ঘটনায় প্রথমে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন আলমগীর মৃধা। তাই বাধ্য হয়ে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার কোনো কাগজ এখনও হাতে পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
]]>




