রাজবাড়ীর আদালতে মামলা জট, ভোগান্তি
<![CDATA[
নানা জটিলতায় রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে বাড়ছে মামলা জট। বছরের পর বছর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচার প্রার্থীরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পাবলিক প্রসিকিউটরের।
রাজবাড়ীর আদালতে শূন্য রয়েছে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদ। এসব আদালতে মামলার ৮-১০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এতে বাড়ছে মামলা জট। আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিচার প্রত্যাশীরা।
ভুক্তভোগীরা জানায়, এমনও হয়েছে যে দশ বছর ধরে আদালতে যাতায়াত করছি, কিন্তু এখনও মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এদিকে আমাদের অর্থবিত্ত সব খোয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আদালতে মামলার জট, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা
আইনজীবীরা বলছেন, মামলার তদন্ত রিপোর্ট পেতে বিলম্ব, তদন্তকারী কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হওয়াসহ নানা জটিলতায় মামলা নিষ্পত্তি হতে বিলম্ব হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শফিউল আলম খোকন বলেন, ‘একটা মামলার রিপোর্ট আসতে আসতে ৬ মাস থেকে ১ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। তাও যে রিপোর্ট আসে সেগুলোর স্বচ্ছতা থাকে না। ফলে অনেক মামলা জট তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬৮ হাজার বিচারাধীন মামলার বোঝা নারায়ণগঞ্জের আদালতে
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ পিপি অ্যাডভোকেট মো. উজির আলী শেখ বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তির প্রধান কারণ আদালতে সাক্ষীর উপস্থিত না থাকা বা আমরা তাদের উপস্থিত করতে না পারা। এ কারণে মামলা জট তৈরি হয়।’
রাজবাড়ীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন ১০টি আদালত রয়েছে। এসব আদালতে প্রায় ৮ হাজার মামলা বিচারাধীন।
]]>




