রাত থেকেই নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
<![CDATA[
১০ দফা দাবিতে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরসহ দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা দেশের প্রায় ২০ হাজার নৌযানের দুই লাখের অধিক শ্রমিক অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বন্ধ হয়ে যাবে মোংলা বন্দরে অবস্থিত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য পরিবহণের কাজ। একযোগে সারা দেশে নৌযান বন্ধের প্রভাব পড়বে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজারেও।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দরা জানান, মজুরি বৃদ্ধি, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ, মৃত্যুকালীন ভাতা, নৌপথে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ, নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, পণ্য পরিবহনে নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করাসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে তারা।
বেশ কয়েক মাস ধরে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, দাবি উত্থাপন ও আন্দোলন কর্মসূচির মতো বহু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিন্তু মালিক পক্ষ বারবার সময় ক্ষেপণ করছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে বৈঠক হলেও মালিকপক্ষ তা মেনে নেননি। তারা পুনরায় এক মাসের সময় চান। এতে শ্রমিকরা রাজি না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ রাত ১২টা ১মিনিট থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ১১ দফা না মানলে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ মোংলা শাখার যুগ্মআহ্বায়ক মামুন হাওলাদার বলেন, দেশের সব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে মালিকপক্ষ তাদের নৌযানের পণ্য পরিবহনের ভাড়াও বৃদ্ধি করেছে কিন্তু নৌযান শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। বারবার তাদের কাছে আবেদন করে আসছি, প্রতিবারই সময় নেয় কিন্তু আমাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। গত ১৯ নভেম্বর সরকার ও মালিক পক্ষকে জানানো হয়েছে শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি মানা না হলে ২৬ নভেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি পালন করবে নৌযান শ্রমিকরা। একথা যেনেও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তারা। তাই আমরা এ কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
]]>