বাংলাদেশ

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

<![CDATA[

পাস নম্বর না পেয়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।

রোববার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন ৭১ শিক্ষার্থী। কোটা নীতিমালা পরিবর্তন করে পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে। ফলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মালী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সন্তানরা।

জানা গেছে, এ বছর ‘এ’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন সর্বনিম্ন ৬১.৮৫ নম্বর ও প্রতিবন্ধী কোটায় সবশেষ ৪৬.৮৫ নম্বর পেয়ে। আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৫৯.৮০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ সুবিধা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় অধ্যাপকসহ নয় শিক্ষক।

আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ফেল করেও রাবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ৬০ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-র প্রফেসর ড. মো. হাসানাত আলীর মতে, জাতিগত ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় আনার জন্য কোটা পদ্ধতি চালু থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষকদের সন্তান হওয়ায় পাস নম্বর না পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। এরাই পাঁচ বছর পর শিক্ষক হওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে ধরনা দেবে। এ জন্য ফ্যাকাল্টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও শিক্ষক হতে পারে না মেধাবীরা।

তবে ভর্তি উপকমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো হুমায়ুন কবীর।

গত বছরও ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটির সভায় পাস নম্বর কমানোয় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন ৪৬ শিক্ষার্থী। তবে প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় পরীক্ষা দেয়া ভর্তিচ্ছুদের যোগ্যতা শিথিল করা হয়নি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!