বাংলাদেশ

রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প নেই জার্মানির!

<![CDATA[

শিগগিরই রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প মিলছে না জার্মানির। তাই রাশিয়া পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করত সে পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দিয়ে পুরোপুরিভাবে পূরণ করতে দেশটির আরও কয়েক বছর লাগবে।

জার্মানির অর্থ মন্ত্রণায়ের বরাতে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করত, সেটি এলএনজি সক্ষমতা দিয়ে পুরোপুরিভাবে পূরণ করতে আরও বেশ কয়েক বছর লাগবে।

বুনডেসট্যাগ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নথি অনুসারে, ২০২১ সালে রাশিয়ার থেকে ৫৫ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছিল জার্মানি। 

একই নথির আরেক অংশে বলা হয়েছে, এলএনজি আমদানি করার জন্য বন্দরগুলোতে বর্তমানে নতুন ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) লাগাচ্ছে জার্মানি। তবে এটির সক্ষমতা বছরে ৫৬ বিলিয়ন ঘনমিটার পৌঁছাতে জার্মানিকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর ২০৩০ সাল নাগাদ এটির সক্ষমতা ৭৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঘনমিটার ছাড়াবে, যা ২০২১ সালের জার্মানির ব্যবহৃত গ্যাসের ৮০ শতাংশ।

গত সপ্তাহে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ব্লুমবার্গকে বলেন, রাশিয়ার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল থাকার শিক্ষা পেয়েছে জার্মানি। ইউক্রেন সংঘাত শুরুর আগে রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ গ্যাস আমদানি করা হতো, বর্তমানে সেই সক্ষমতা তৈরি করাই হচ্ছে জার্মানির লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: জার্মানির কাছে রাশিয়ার গ্যাসের কোনো বিকল্প নেই!

বাম দলের এক আইনপ্রণেতা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, ‘সত্যি হচ্ছে, বৈশ্বিক এলএনজি উৎপাদন সক্ষমতা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা এ চাহিদা আগামী তিন থেকে চার বছরে সম্পূর্ণভাবে মেটানো সম্ভব নয়। সুতরাং জার্মানি বেশি দামে গ্যাস কিনতে থাকবে এবং অন্যান্য কম ধনী দেশগুলো খালি হাতে ফেরত যাবে।’

এ নথির বিষয়ে জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

এখন পর্যন্ত জার্মানি রাশিয়ার পাইপলাইন গ্যাসের ওপর তাদের নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়েছে। গত বছর দেশটি তার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এলএনজি আমদানি করেছে এবং নরওয়ে ও নেদার‌ল্যান্ডস থেকে পাইপলাইন গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়েছে। তবে নেদারল্যান্ডস সম্প্রতি গ্রোনিংজেন গ্যাসক্ষেত্রে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যদি দেশটি এমন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আবারও সরবরাহ সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে জার্মানি।

এদিকে জার্মানির আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এলএনজির আমদানি খরচ রাশিয়ার পাইপলাইন গ্যাসের চেয়ে চারগুণ বেশি ব্যয়বহুল। 
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!