<![CDATA[
ইউক্রেনে সামরিক হামলার পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার সর্বশেষ টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে লাটভিয়ার সরকার। খবর বিবিসির।
২০১০ সালে রাশিয়ায় টিভি রেইন নামে একটি চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পুতিন ও তার সরকারের সমালোচনা করায় সেটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হলে ২০২২ সাল থেকে টিভি চ্যানেলটি লাটভিয়া থেকে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে।
পাঁচ মাসের মাথায় লাটভিয়াতেও চ্যানেলটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে টিভি রেইন’র সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে লাটভিয়ার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে টিভি রেইন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে চ্যানেলটি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা লাটভিয়া সরকারের নির্দেশ মেনে সম্প্রচার বন্ধ রাখবে। কিন্তু ইউটিউবে তারা নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। কিন্তু লাটভিয়ার ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে সেটি আর দেখা যাবে না। লাটভিয়ার বেশিরভাগ মানুষ রুশ ভাষাভাষি হওয়ায় সেখানে টিভি রেইন জনপ্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন: নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে রাশিয়ার ব্যাংক ও টিভি চ্যানেল
লাটভিয়ার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক ‘দ্য ন্যাশনাল ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া কাউন্সিল’ থেকে রেইন টিভি সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উপর হুমকিমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে চ্যানেলটিকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল। একটি ম্যাপে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার ভূখন্ড হিসেবে দেখানোর কারণে এই জরিমানা করা হয়।
রাশিয়ায় দেশটির বিরোধী নেতারা অবশ্য টিভি রেইন বন্ধ করে দেয়ার সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ঠিক কী ঘটছে, রুশ ভাষা-ভাষীদের সেটি জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন উৎস ছিল সেটি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলার বিরোধিতা, পদত্যাগ করলেন টিভি চ্যানেলের সবাই!
পুতিনের কট্টর সমালোচক রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা আলেক্সি নাভালনির প্রেস সেক্রেটারি কিরা ইয়ারমিশ বলেন, পুতিন এই যুদ্ধ শুরু করেছেন। টিভি রেইন, যারা পুতিন এবং যুদ্ধ সম্পর্কে সত্যি তথ্য জানাত। টিভি রেইন এর লাইসেন্স কেড়ে নেয়া শুধু পুতিনের জন্য লাভজনক হয়েছে।
রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার একে ‘তথ্যের স্বাধীনতার উপর গুরুতর আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছে।
]]>
