খেলা

রিজার্ভ চুরির টাকা ফেরত পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক

<![CDATA[

নিউইয়র্ক আদালতের রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসায় রিজার্ভের টাকা দ্রুতই ফেরত পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক। প্যানেল আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, সেই মামলায় আদালতের বাইরে সমঝোতার জন্য বিবাদীদের সুযোগ দিয়েছে নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট। ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কের আদালতের এ আদেশ আসে।

এ মামলা বাতিলের আবেদন করেছিল রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন, যা খারিজ করে সমঝোতার আদেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য বিবাদীদের ২০ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, এ আদেশ বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় অর্জন।

নিউইয়র্কে নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনি প্রতিষ্ঠান মধ্যস্থতায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পক্ষে রায় নিউইয়র্কের আদালতে

নিউইয়র্কের আদালতের রায়ে বাংলাদেশের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। তিনি বলেন, আমরা যদি কোর্টের পর্যবেক্ষণের দিকে নজর দেই, তাহলে কিন্তু আমরা বলতে পারি যে বাংলাদেশের এ মামলা জিতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ সময়সীমা ধরে সমঝোতা করার কথা বলা হয়েছে। ২০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কোর্ট। একই সঙ্গে তাদের যোগসাজশ থাকার ইঙ্গিতও দিয়েছে কোর্ট।

তার মতে, অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়েছে। এখন অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ রায়ের।

রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখের মধ্যে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধারে ২০২০ সালে এ মামলা করেছিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়া হয় রিজাল ব্যাংকে। ওই অর্থ স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আর পাওয়া যায়নি। তার তিন বছর পর ২০১৯ সালে ওই অর্থ উদ্ধারের আশায় নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!