রোগীর চাপে তিলধারণের ঠাঁই নেই চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে
<![CDATA[
আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের ফলে চাঁদপুরে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে স্বজনরা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। এরই মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যা ছাড়িয়ে হাসপাতালের করিডোর ও মেঝেতে অবস্থান করতে হচ্ছে। যাদের মধ্যে পেটের পীড়া, সর্দিজ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা-ই বেশি।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৩১টি নির্ধারিত শয্যা রয়েছে। তবে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগী ও স্বজনদের চাপে তিলধরাণের জায়গা নেই। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এমন পরিস্থিতিতে শুধু চাঁদপুর নয়, আশপাশের জেলা থেকেও পেটের পীড়া, সর্দিজ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে স্বজনরা ছুটে আসছেন। এমন তথ্য জানিয়েন স্বজনরা।
তবে যারা হাসপাতালের করিডোর এবং মেঝেতে স্থান পেয়েছে তাদের কষ্ট হলেও চিকিৎসার মান নিয়ে কিছুটা স্বস্তির কথা জানান তারা।
এদিকে বাড়তি রোগীর চাপের কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা অনেকটা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই নিয়ে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরা তাদের দুর্গতির কথা জানান।
মূলত ঋতু পরিবর্তনের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তাই তাদের প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও শিশু বিশেষজ্ঞ আবদুল আজিজ মিয়া।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে দেরিতে আসায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার বেশি: স্বাস্থ্য অধিদফতর
তিনি বলেন, মৌসুমের এই সময় পেটের পীড়া, সর্দি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তাই শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
অন্যদিকে হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান।
তিনি জানান, চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি রোগী হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন। তার মধ্যে শিশুই হচ্ছে শতাধিক। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীও আছে। নানা বয়সী মানুষজনও চোখ উঠা, সর্দিজ্বর এবং পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরও চিকিৎসাসেবা প্রদানের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, সেবাপ্রত্যাশীদের কিছুটা কষ্ট হলেও তা দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
]]>