লঞ্চে সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে হত্যার দায় স্বীকার করে ৩ আসামির জবানবন্দি
<![CDATA[
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে ঝগড়ার জেরে হামলায় সুমন গাজী নামে এক লঞ্চযাত্রী নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসাইনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।
তিন আসামি হলেন: মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ আল বাবু, তার সহযোগী মো. সোহাগ ও সবুজ মিয়া। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আটক অপর আসামিদের তিনজনকে ৫৪ ধারায় এবং দুজনকে জড়িত সন্দেহে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর বুধবার ভোর পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লঞ্চযাত্রী সুমন গাজী হত্যায় আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি বাবুসহ তিনজন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী-৩ লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে যাত্রী সুমন গাজীর সঙ্গে সহযাত্রী আব্দুল্লাহ আল বাবুর ঝগড়া হয়। পরে রাত সোয়া ১১টায় চাঁদপুর টার্মিনালে লঞ্চটি ভিড়লে বাবু তার অপর সহযোগীদের নিয়ে সুমন গাজীর ওপর হামলা করেন। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন সুমন গাজী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সুমন গাজীর ওপর হামলার পর তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইউসুফ আলী গাজী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
সদ্য বিবাহিত সুমন গাজীর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকায়। রাজধানী ঢাকায় আসবাবপত্র তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি। এদিকে সুমন গাজী নিহতের ঘটনায় তার স্বজন ও এলাকাবাসী চাঁদপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে নানা স্লোগান দেন।
]]>