লম্বা সময়ের আক্ষেপটা মেটাতে পারবে রোহিতের দল?
<![CDATA[
উদ্বোধনী আসরেই চ্যাম্পিয়ন, তবে এরপরের ১৫ বছরে ছুঁয়ে দেখা হয়নি স্বপ্নের শিরোপা। বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ব্যয়বহুলতম ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ আইপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে শিরোপা জেতাতে পারেনি। নতুন অধিনায়ক আর কোচ নিয়ে, আরো একবার সে মিশনে নামার অপেক্ষায় ম্যান ইন ব্লু’রা। সপ্তম আসরে সে আক্ষেপ ঘুচবে কিনা, সে উত্তর কেবল সময়ের হাতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের শুরুটা হয়েছিলো স্বপ্নের মতো। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম আসরের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তবে এরপরের পাঁচটি সংস্করণে সে সুখস্মৃতির আর পুনরাবৃত্তি করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট বেছে নিলেন শচীন
২০০৯, ১০ আর ১২, দ্বিতীয় রাউন্ডই পার করতে পারেনি ম্যান ইন ব্লু’রা। ‘১৪ তে মিরপুরে, লঙ্কানদের কাছে হৃদয় ভাঙ্গে ধোনির দলের। বছর দুয়েক পর শেষ চারেই দৌঁড় শেষ স্বাগতিক ভারতের। সবশেষ সংস্করণেও সুপার টুয়েলভের বাধা টপকাতে পারেনি কোহলিবাহিনী।
তবে ক্ষুদ্রতম সংস্করণের শিরোপা পুনোরুদ্ধারে, এবার বেশ বদ্ধপরিকর ভারত। সবশেষ আসরের ব্যর্থতা কাটাতে, কোচ কিংবা অধিনায়ক, পরিবর্তন এসেছে সবকিছুতে। দিনেশ কার্তিক থেকে শুরু করে রবি অশ্বিন, কিংবা শেষ মুহুর্তে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ শামি- নির্বাচকরা গুরুত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞতার ওপরে।
অধিনায়ক রোহিতের বড় শক্তির জায়গা সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মাত্র ৪টি সংস্করণ খেলা এই ব্যাটার, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গড় আর ফিফটির মালিক। চলতি আসরেই বনে যেতে পারেন সর্বোচ্চ রানের মালিক।
কোহলির চেয়ে বড় তুরুপের তাস হতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। ১৭৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা এই ব্যাটার, পছন্দ করেন বড় শট খেলতে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলোতে, পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন ভারতের জন্যে।
মিডল অর্ডারে দলটির ভরসার নাম দিনেশ কার্তিক। সবশেষ আইপিএলে নিজেকে অন্যভাবে চেনানো এই ব্যাটার, ভারতের জার্সিতে প্রত্যাবর্তনটাও করেছেন দারুণভাবে। তবে ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটারের জায়গা পাওয়ার লড়াইটা থাকবে রিশাভ পন্থের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না ভারত
হার্দিক-চাহালরাও গেম চেঞ্জার হতে পারেন ভারতের জন্য। তবে টিম ইন্ডিয়ার চিন্তার কারণ পেস বোলিং অপশন। মূল অস্ত্র জাসপ্রিত বুমরাহর চোটে ছিটকে যাওয়া, দলটির ফেভারিটের তকমা ফিঁকে করে দিয়েছে অনেকটাই। তবে ভুবেনেশ্বর-শামীরা নিজেদের মেলে ধরতে পারলে, লম্বা সময়ের আক্ষেপটা মেটাতে পারে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
]]>




