লালমনিরহাটে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রেলপথে দুর্ঘটনা
<![CDATA[
লালমনিরহাটে অপরিকল্পিতভাবে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। আর জনসাধারণের অসতর্কতা ও রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে দাবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়রা জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। রেললাইন ধরে অসতর্কভাবে হাঁটা, রেললাইনে বসে গেম খেলা, তাড়াহুড়ো করে রেলক্রসিং পার হওয়াসহ নানা কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়া চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা তো আছেই।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত
এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এক লাইন থেকে অন্য লাইনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে গেলেই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর নারী যাত্রীরা পড়েছেন আরও বিপাকে। তাদের লাইন থেকে প্ল্যাটফর্মে উঠতে গেলেই নিতে হচ্ছে অন্যের সহযোগিতা। এর মধ্যে স্টেশন মাস্টার নিজেও হয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার। তাই জনগণের অসচেতনতার পাশাপাশি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সতর্কতার অভাবে রেলপথে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
লালমনিরহাট রেলস্টেশন মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটি উঁচু হওয়ার পাশাপাশি কোনো সিঁড়ি না থাকায় যাত্রীদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি নিজেও পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় লোকো মাস্টার (এলএম) রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ‘আমরা যখন ট্রেন চালাই তখন দেখি অনেকেই এক ধান্দায় রেললাইনে বসে মোবাইলে কথা বলে, অনেকে আবার গেম খেলে। বারবার হর্ন দিলেও অনেকেই বুঝতে পারে না। আর ট্রেনের মধ্যে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই যে ব্রেক ধরার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থেমে যাবে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, গত চয় মাসে লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, রেলপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে। এ জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তবে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে বিষয়টি এলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
]]>