খেলা

শরীয়তপুরে ৩১ কি.মি মহাসড়কের বেহাল দশা

<![CDATA[

শরীয়তপুর-ইব্রাহিমপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। ১৮ ফুট সড়কটি ৩৪ ফুটে উন্নতিকরণের লক্ষ্যে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হলেও কাজ হয়নি ছিটেফোঁটাও। সড়কটির বেহাল দশায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে সমস্যা সমাধানে বরাবরের মতো সড়ক বিভাগের দায়সারা জবাব।

পাখির চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই, কোনটি আসল সড়ক আর কোন অংশে কাজ হচ্ছে প্রশস্তকরণের। লাল সড়কের পাশে সাদা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় চার বছর ধরে।

শরীয়তপুরের মনোহর বাজার থেকে ইব্রাহিমপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এলাকার সড়কবর্ধিত করণের জন্য দেয়া হয় চারটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু করোনা মহামারি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে নামমাত্র কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান হয়নি কাজের ১০ ভাগও। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে যানবাহন।

আরও পড়ুন: কাজ শেষ না হতেই ধসে গেছে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ

চালকরা বলছেন, রাস্তার এত বাজে অবস্থা হয়েছে যে, প্রতিনিয়ত গাড়ির বিভিন্ন পার্টস ভেঙে যাচ্ছে, গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। কেবল দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থার জন্য এসব ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা গাড়ি বের করতে হচ্ছে।

বাসিন্দারা বলছেন, এ রাস্তার ধুলোবালিতে আমাদের বাড়িঘরের চেহারা শেষ। গাছপালার সব পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে একবার শরীয়তপুর গেলে দুদিনেও শরীরের ব্যথা কমে না। রোগী নিয়ে চলাচলা করা তো দূরের কথা, সুস্থ মানুষই অসুস্থ হয়ে ফিরে।

আরও পড়ুন: ১০০ মহাসড়ক বিজয়ের মাসের উপহার: প্রধানমন্ত্রী

রাস্তার পাশে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও একই দশা উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলছেন, দিনেদিনে পাঠদান কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। ধুলোবালিতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলো প্রায় অসুস্থ থাকে।

তবে, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই কাজের দৃশ্যমান উন্নতি হওয়ার দায়সারা জবাব সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার।

শরিয়তপুর সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রায় চার কি.মি. ভূমিতে আমাদের ঠিকাদাররা কাজ করছেন। নির্মাণ উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে ঠিকাদারদের দ্বিধা রয়েছে, সরকার থেকে প্রাইসস্কেল নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসে কিনা! এরপরও আশাকরছি, আগামী ৩-৪ মাসে সমস্যাগুলো কাটিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করা যাবে। তাতে দেড় বছরের মধ্যেই সড়ক উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে।’

আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ৪ লেনের কাজে ধীরগতি

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জেলার মনোহর বাজার থেকে ইব্রাহিমপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কবর্ধিত করণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!