শিশুর প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে কীভাবে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে বাবা-মাকে।
শিশুর প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর জন্য নানা চেষ্টা ঘরেই হয়ে থাকে। গত দেড় বছরে তা নিয়ে চিন্তা আরও বেড়েছে বাবা-মায়ের। করোনার অতিমারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিষয়টি নিয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। শিশুদের ছোট থেকেই কয়েকটি অভ্যাস করাতে হবে, যাতে তাদের প্রতিরোধশক্তি বাড়ে।
বিশেষভাবে নজর দিতে হবে যে বিষয়ে
১) ছোট থেকেই শাক-সবজি খাওয়া অভ্যাস করাতে হবে। ভিটামিন, মিনারেলের মতো প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান শরীরে প্রবেশ করবে তার মাধ্যমে।
২) পরিচ্ছন্নতা কত জরুরি, তা শেখাতে হবে শিশুকাল থেকেই। খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, খেলে এসে হাত-মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস যেন প্রথম থেকেই হয়ে যায়।
৩) বারবার পানি পান করাতে হবে। ছোট থেকে নিজেই যেন পানি পানের অভ্যাস করে। শরীর প্রয়োজনীয় পানি পেলে অনেক রোগের সঙ্গে লড়তে সক্ষম হয়।
৪) এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করান, যাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাতে হজমশক্তি বাড়বে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি হবে। রোজের ঘরোয়া খাবার ডাল, সবজিতে যথেষ্ট ফাইবার থাকে। সে সব খেতে হবে।
৫) ঘড়ি ধরে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাসও ছোটবেলায় করিয়ে দেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে হাজার নিয়ম মেনেও লাভ হয় না। সুস্থ থাকার জন্য রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম অতি প্রয়োজনীয়।৬) বর্তমানে শিশুরা মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে আসক্ত, এটা থেকে বের করে আনতে হবে। প্রতিদিন আপনার শিশুকে খোলা মাঠে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মেলামেশার চেষ্টা করুন।৭) টেলিভিশন বা মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস বন্ধ করুন। এতে শিশু খাবারের স্বাদ ভুলে যাবে। এক সময় সে খেতে চাইবে না। শিশু বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিজ হাতে খাওয়ার চেষ্টা করতে দিতে হবে। হয়তো ঘর বাড়ির আসবাবপত্র, খাওয়ার টেবিল নোংরা করবে তারপরও তাকে সেই চেষ্টা করতে দিতে হবে।
৮) শিশুর মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুর কথাগুলো মনযোগ সহকারে শুনতে হবে। তাহলে সে বড় হয়ে অন্যের কথাও শোনার প্রবণতা তৈরি হবে।
৯) নিয়মিত শিশুকে আদর্শ কথা শেখানো চেষ্টা করুন।
১০) শিশুর হাতে তুলে দিন শিশুর পছনের মতো বই।