শিশুসহ তিনজনকে হত্যা: এএসআই সৌমেন বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি
কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার জেরে খুলনার ফুলতলা থানার এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তে রেঞ্জ কার্যালয় ও খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার জেরে খুলনার ফুলতলা থানার এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তে রেঞ্জ কার্যালয় ও খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সৌমেন রায় ছুটি না নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার পর জানা গেল সে কুষ্টিয়ায়। বিধিমোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) খায়রুল আলম ও জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ শেখ মাসুদুর রহমান। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদকে। অন্যরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ও কুষ্টিয়া ডিআইও-১ ফয়সাল হোসেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, সৌমেন রায়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করবে। দুই কার্যদিবসে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সৌমেনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত সৌমেন মিত্র খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে বিকাশের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিকাশের এজেন্ট শাকিল। তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সদস্য সৌমেন মিত্রের স্ত্রী আসমা ও তার শিশু সন্তান রবিন।
এ সময় হঠাৎ সৌমেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই তিনজনকে গুলি করে। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি সময় নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা সৌমেন আটক করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে তাদের হেফাজতে নেয়। পুলিশের ধারণা, পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড।