শীতের দাপটে বেড়েছে রোগবালাই, বেশি আক্রান্ত শিশুরা
<![CDATA[
তীব্র শীতে বরগুনায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ। গুনা সদর হাসপাতালে; অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলায়।এক দিনে ৫২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জনই শিশু। ভর্তি রোগীর ২৭ জন রয়েছেন বর
বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১২ এবং শীতজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ১৫ রোগী। পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ এবং শীতজনিত রোগে পাঁচজন। বামনায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক এবং আমতলীতে ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছেন ১৩ এবং শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন একজন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আরও ৬৭ ডেঙ্গু রোগী
তবে চিকিৎসক ও সরঞ্জামের সংকটে সুচিকিৎসা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বরগুনা সদর হাসপাতালে খাদিজা আক্তার নামে এক শিশু রোগীর মা জানান, তিন দিন ধরে জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত তার দুই বছরের শিশু লামিয়া। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার নিউমোনিয়া হয়েছে।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত এক শিশুর বাবা আল-আমিন হোসেন জানান, অসুস্থতার কারণে অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে তার ছেলেকে। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডের অক্সিজেনের লাইনগুলো বিকল। এ কারণে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে অক্সিজেন দিতে হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগেও সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে দিগুণ, অধিকাংশই ঢাকার
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ মুরশীদ আল মামুন বলেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন শিশুর ঠান্ডা না লাগে। এ ছাড়াও ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি খাবারের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে আমাদের চিকিৎসক সংকট রয়েছে। কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ নেই, তাই মেডিকেল অফিসাররাই শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।’
]]>




