শুক্রবার পর্যন্ত বেনাপোলে ভারতফেরত ২১৬৮ জন, পজিটিভ ১২
বিশেষ প্রতিনিধি :
এদিকে, চিকিৎসা শেষে ভারতফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
ভারতফেরত যাত্রী রহিম জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে অনেকটা তারা উপকৃত হবেন। চলমান ক্রান্তিকাল সময়ে এ নির্দেশনা বহাল রাখার আহবান জানান যাত্রীরা।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারতফেরত যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন এজন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্ক বার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু যাত্রীদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের হোটেল ও যানবাহন ভাড়া সাশ্রয়ে সংশিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কিলোমিটার প্রতি নন এসি যানবাহন ভাড়া ১২ দশমিক ৫০ টাকা ও এসিতে ১৭ দশমিক ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, নিষেধাজ্ঞার গত ১২ দিনে ভারত থেকে ফিরেছে ২১৬৮ জন। সবশেষ শুক্রবার ভারত থেকে ২৭৬ জন ফিরেছেন। ফেরত আসা ২১৬৮ জনের মধ্যে ১২ জন ছিল করোনা পজিটিভ। এরা ভারতে গিয়ে করোনা আক্রান্তের শিকার হয়।
আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা সাতক্ষীরা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন খরচ গত বছর সরকার বহন করলেও এবার যাত্রীদের নিজেদের ব্যয় করতে হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ধরন রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণ সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে নতুন করে কোনও পাসপোটধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল। তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।