শুষ্ক মৌসুমে নদীভাঙন, আতঙ্কে গ্রামবাসী
<![CDATA[
অসময়ে যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী গ্রামে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তীর রক্ষা প্রকল্পের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা। শুষ্ক মৌসুমে আকস্মিক এই ভাঙনে আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় মুহূর্তেই নদীতে বিলীন হয়ে যায় নির্মাণাধীন নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সিমলা পাঁচঠাকুরী এলাকায় যমুনা নদীর পূর্ব পাশে জেগে উঠেছে বিশাল চর। ফলে নদীর পশ্চিম অংশ দিয়ে ক্যানেল সৃষ্টি হওয়ায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদীর ডান তীরে স্রোত বইছে। পানি কম থাকলেও স্রোতের তোড়ে নদীর ডান তীরে গভীরতা সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতংকিত নদীপাড়ের মানুষ।
এ অবস্থায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি নদীর পূর্ব অংশের চর কেটে দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: পদ্মায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকিতে নদী রক্ষাবাঁধ
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’
যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় পাটাগ্রাম, সিংড়া বাড়ি, বাঐখোলা, সিমলা এলাকায় প্রায় ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
]]>




