বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর: এনামুল হক শামীম

<![CDATA[

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। তার সাহসিকতা এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ও বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে লস এঞ্জেলসে প্রবাসী বাংলাদেশি ও গ্রেটার ফরিদপুরবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্বে প্রভাবশালী নারী প্রধানমন্ত্রী, অনুকরণীয়-অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি, রেমিট্যান্স, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু আর্থিক বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে, বাল্যবিয়েসহ বিভিন্ন রকমের সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে দেশবিরোধীদের হাতে শহীদ হওয়ার পর জীবনের ঝুঁকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসেন। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার বাস্তবায়নের লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদকে হটিয়েছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারাভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। অন্তত ২১ বার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থেকেছেন।

 

আরও পড়ুন:  শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপন

তিনি বলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে তাদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা- একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে তিনি গৃহহীন ঘর তুলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার তুলনা শুধুই শেখ হাসিনা। তিনি অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মানবতার মা শেখ হাসিনার পেছনে ফেলে আসা ৭৫ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় তিনি প্রতিকূল স্রোতে নৌকা বেয়ে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা’, বলিষ্ঠ একজন সমাজসংস্কারক। গত বছর ইউনেসকোর সাবেক প্রধান ইরিনা বোকোভা বলছিলেন, ‘সাহসী নারী’ হাসিনা সবাইকে পথ দেখাচ্ছেন। আসলেই তিনি সবাইকে পথ দেখাচ্ছেন। বিশ্বে চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তিনি সততা, মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতায় তিনি বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী। সব ষড়যন্ত্র চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে, জনগণের রায় আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো তিনি ক্ষমতায় আসবেন।

শামীম বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে কর্মরত রয়েছে। দেশের অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রবাসীরা হচ্ছেন বিদেশে দেশের দূত। করোনাকালীন সময় দেশের অর্থনীতি চাঙা রাখতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন প্রবাসীবান্ধব সরকারপ্রধান।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যার জন্মদিন, বাঙালির আশার বাতিঘরের শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী, আপনি শতায়ু হন। দেশের জন্য আপনাকে প্রয়োজন। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। সেই হারানোর অপূর্ণতা এই দেশ এই জাতি কখনও পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ১৭ কোটি বাঙালির অভিভাবক হিসেবে আপনাকে সামনে রেখেই সফলতার সঙ্গে আমরা পথ চলছি। আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া যুবলীগের সভাপতি সুবর্ণ নন্দী তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি, নুরে আলম সিদ্দীকি সাদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান জীবন, কমিউনিটি নেতা মমিনুল হক বাচ্চু, সায়েদুল হক সেন্টু, হুমায়ুন কবির, ইলিয়াস সিকদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মশহুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক লস্কর আল মামুন, সাজিয়া হক মিমি, আনন্দ মেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলী খান প্রমুখ।

এ সময় প্রবাসীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে আসার আহ্বান জানান। এ ছাড়া লস এঞ্জেলসে স্থায়ীভাবে কনস্যুলার অফিস স্থাপন ও প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে করণীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!