<![CDATA[
শেরপুর সদর ও ঝিনাইগাতীর চাঞ্চল্যকর আলাদা হত্যা ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু মিয়া ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাগর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পলাতক ওই দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজেন্দ্রপুরে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪।
র্যাব জানায়, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ রাতে সাগর ও সহযোগীরা অটোরিকশা চালক আব্দুর রেজ্জাককে খুন করে শেরপুর শহরের মোবারকপুর এলাকায় একটি ইটের ভাটায় ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানায় হত্যা মামলা করে। গত বছরের ৬ এপ্রিল শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত সদর উপজেলার যোগিনীমুরা গ্রামের সাগর নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তখন থেকেই সাগর পালিয়ে ছিল। পরে তিনি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বিভিন্ন ছদ্মনাম নাম ধারণ করে আত্মগোপন করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুই কিশোরী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
অপরদিকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঝিনাইগাতী থেকে প্রতিবেশী কালু মিয়া ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর খুন করে। পরে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিগত ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামি কালুকে মৃত্যুদণ্ড দেন। খুনের পর থেকেই কালু মিয়া পলাতক ছিলেন।
উভয় আসামিকে ২৪ জানুয়ারি গ্রেফতার করে র্যাব। তবে একজনের সঙ্গে অন্যজনের কোনো যোগসূত্র নেই।
র্যাব-১৪- জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান শেরপুর প্রেসক্লাবে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ছদ্মনামে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। নানাভাবে খোঁজ নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
]]>
