বিনোদন

শেষ হলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ. লীগের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

<![CDATA[

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্ব স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর এবং সদস্য সচিব প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, এখন আর গ্রামে হালচাষ হয় না। যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বাংলার ছাত্রী, কিন্ত উনি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তার পেছনে এমন একজন কারিগর আছেন যে আমাদের পথ মসৃণ করেছেন। নামের সাথেই জয় করছেন সব।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ না করা হতো তবে করোনায় থমকে যেত জীবনযাত্রা। মানুষ খাবার অর্ডার করে এখন অনলাইনে। মন্বন্তর ও অতিমারিতে বাংলাদেশকে থামানো যায় না, যাবেও না। বাংলাদেশ যেখান থেকে উঠে আসছে তা কেউই ভাবতে পারেনি। যে হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করেছিল সেই কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কৃত করেছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যতই বলা হোক তার পেছনে রয়েছে মানুষ। মানুষ যা চেয়েছে, মানুষ তাই পেরেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা চারপাশে তাকালেই দেখি সব কর্মে সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন বঙ্গবন্ধু। বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউর সদস্য পদ অর্জন, বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) সদস্য পদ অর্জন, এখন যারা লাফালাফি করেন তারা একসময় ভাবতো সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য বাইরে পাচার হয়ে যাবে। আসলে বিএনপি কোনো নতুন জিনিস গ্রহণ করতে ভয় পায়।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি তারুণ্য। এ তরুণদের যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবেও নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু মাঠে মিছিল মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গবেষণা ও সৃজনশীল কাজও করে থাকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে কাজ করে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে উপমহাদেশে প্রথম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছে। যা যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
 
সমাপনী দিনে সকাল ১০টা থেকে টেকনিক্যাল সেশন শুরু হয়। এদিন আইইবির কাউন্সিল রুমে সম্মেলনের তৃতীয় এবং সমাপনী দিনের প্রথম মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এরপর ১০টি আলাদা ভেন্যুতে ৭০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চতুর্থ এবং শেষ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইইর ইতিহাসের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান।

এরপর আলাদা ১০টি ভেন্যুতে ৭৩টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন গবেষকরা। এর আগে শুক্রবার সকালে আইইবির অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রায় ২৫২টি গবেষণাপত্র উপস্থিত হয়। এসব গবেষণাপত্র থেকে যে সব সুপারিশগুলো আসবে সেগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সেল এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!