বাংলাদেশ

শ্রীরামের সবুজ সংকেত পেলে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ইচ্ছা থাকলেও জাতীয় দলে খেলার মতো ক্রিকেটারের সংখ্যা কম থাকায় পুরানোদের ওপরই আস্থা রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। জানিয়েছেন বিসিবি নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। দলের মূল কাঠামো ঠিক হয়ে গেলেও এখনই দল ঘোষণা করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলত শ্রীরামের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে নির্বাচক প্যানেল।

এশিয়া কাপের দলটা ব্যর্থ। ফলাফল যদি দিন শেষে মুখ্য হয়ে থাকে তাহলে এ মন্তব্যটা নিয়ে তর্ক করার তেমন কিছু নেই। কিন্তু তাই বলে যদি আপনি ভেবে থাকেন বিশ্বকাপ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজে আমূলে বদলে যাবে দলটা তাহলে সেটাও ঠিক নয়। কারণ সেরকম কোনো সম্ভাবনাই নেই। কথাটা বলেছেন, এমন একজন যার হাতে দায়িত্ব বিশ্বকাপের দল গোছানোর। তিনি নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।

মূলত পাইপ লাইনে কোয়ালিটি ক্রিকেটারের সংখ্যা কম থাকায় ঘুরে ফিরে চেনা কিছু মুখ নিয়েই পরিকল্পনা সাজাতে হবে নির্বাচক প্যানেলকে। তবে ইনজুরিতে থাকা তিন ক্রিকেটার ফিরে আসলে তাদের অন্তর্ভুক্তি এক রকম নিশ্চিত এটা বলতে ভুলেননি রাজ্জাক।

আরও পড়ুন: কেন মাঠ থেকে বিদায় নেয়া হয় না টাইগারদের?

গণমাধ্যমকে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজ্জাক বলেন,  সৌম্য সরকার কিন্তু আমাদের যে কয়জন ‘গ্রুপ অব প্লেয়ার’ এর মধ্যে যে একটা টার্গেট থাকে সেটার বাইরে না। নাঈম শেখও তার মধ্যে। আমাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এর মধ্যে থেকেই দল গঠন করা লাগে। এর বাইরে জাতীয় দলে নিয়ে নেওয়ার মতো ক্রিকেটার আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব যেন সেরা দলটাই বিশ্বকাপে যেতে পারে। আমাদের যা শক্তি আছে তার মধ্যেই যেন সেরা দলটা হয়।

খুব বেশি পরিবর্তনের আভাস না থাকায় মূল দলটার কাঠামো কি হবে সেটা ধারণা করা যাচ্ছে সহজেই। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম আছে। সেটা শ্রীরামের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। কারণ নিজের চোখে না দেখে কাউকে নিয়ে নাকি নতুন চ্যালেঞ্জে নামতে চান না টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট।

রাজ্জাক বলেন,  সবাই মিলে আসলে দল গঠন করা হয়। কিছু কথাবার্তা তো হয়েই আছে। আর শ্রীরাম আসলে তার সঙ্গেও কথা হবে। হয়তো কাউকে সংযোজন করা লাগছেনা আবার হয়তো দুয়েকজনকে সংযোজন করাও লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের বিবেচনায় সৌম্য

মুশফিকের অবসরের ঘোষণা একটা অদ্ভূত অনুভূতি তৈরি করেছে রাজের মধ্যে। মুশির পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক বেশি সমালোচনা থাকায় এখন দল গোছাতে কিছুটা নির্ভার থাকতে পারবেন বলে একটা স্বস্তি আছে। তবে এশিয়া কাপে মাঠ থেকে না নিয়ে এভাবে অবসরের কথা ঘোষণা করায় আক্ষেপও আছে সাবেক ক্রিকেটারের মনে।

এ বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, তার যেহেতু অবসর নেওয়ারই ইচ্ছা ম্যাচের মধ্যে বললে খারাপ হতো না। অন্তত মাঠ থেকে বিদায়টা নেয়া হতো। আমরা দেখেছি বড় বড় ক্রিকেটাররা কিন্তু মাঠ থেকেই বিদায় নিয়ে গেছেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!