খেলা

সকালেই নেমে এলো রাতের আঁধার

<![CDATA[

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বদলে গেছে আকাশ। ধূসর ভারি মেঘ সাতসকালেই বদলে গেছে; নিমেষে নেমে এসেছে রাতের অন্ধকার!

এর আগে রোববারও (২৩ অক্টোবর) গুমট আবহাওয়া বিরাজ করে। সিত্রাংয়ের ভয়াবহতার খবরে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কেটেছে জেলাবাসীর।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ উপজেলায় সাতটিসহ জেলায় মোট ৮টি কন্টোলরুম খোলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভবন প্রস্তুত থাকবে। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পলনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুত কক্সবাজার

চর ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আনা ও সর্তক সংকেত প্রচারের জন্য জেলার ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রেখেছেন। সর্তক সংকেত বাড়লে তারা কাজ শুরু করবেন।

এ ছাড়া পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন দুর্গত এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায়। সাইক্লোন সেলটারে আশ্রিতদের জন্য শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জরুরি ওষুধসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম, প্রাণী সম্পদ বিভাগের ২৩টি ভেটেনারি টিম প্রস্তুত রেখেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান থাকায় জেলেরা আগে থেকেই তীরে অবস্থান করছেন। এর পর কোনো জেলে যেন নদীতে নামতে না পারে সেজন্য মৎস্য বিভাগ বিশেষ তদারকি করবে।

সাগরকুলের চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, জোয়ারের পানি কিছুটা বাড়লেও কোনো ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়নি। আবহাওয়া অধিদফতরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জনবল প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!