সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী
<![CDATA[
সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী। রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে নিহতদের ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগের নানা অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে তেজগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থী আলী হোসেন।
এর আগেও গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিলেটের বিশ্বনাথে বাস ও দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পৌর এলাকার আল-মদিনা বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণির ছাত্র ও মোটরসাইকেল আরোহী শাহেদুজ্জামান মারা যান।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ১৩ শতাংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। তাদের মধ্যে ৮০৩ জনই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী-পুরুষ নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ার পেছনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারিত না থাকা, পর্যাপ্ত গতিরোধক ও ফুটওভার ব্রিজ না থাকাকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকেই হেঁটে আসে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফুটওভার ব্রিজ দেয়া দরকার। এ ছাড়াও যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম থাকবে, সেখানে গতিসীমা কমিয়ে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, গতিসীমা নির্ধারণ নিশ্চিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন।
এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশই হচ্ছে মোটরসাইকেলে। গেল আগস্টে সারা দেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৯ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৭২ জনই মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার কথা, অথচ সেটিও থাকছে না। শুধু তাই নয়, যানবাহনের নিবন্ধনও থাকছে না। ফলে এখানে ব্যাপক মাত্রায় ঝুঁকি যুক্ত হয়েছে। এ জন্য প্রতিবছরই দেখছি, দুর্ঘটনাগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি হচ্ছে।
দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবে প্রয়োগের তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টরা।
]]>