বিনোদন

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন, হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

<![CDATA[

দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন, হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সিংহভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করে, তারপর থেকে দেশে হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। এটা আওয়ামী লীগের কথা নয়, এটা আমেরিকায় ধরা পড়েছে। সেখান থেকে দেশে লোক এসে সাক্ষ দিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ২০০১-এর নির্বাচন অথবা মাগুরা, ঢাকা-১০-এর উপনির্বাচনের কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হতো, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট, যদি দেখেন। কথাই ছিল ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। ভোটের বাক্সে সিল মারা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হতো। তার জন্য আমরা স্বচ্ছ ভোটার বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণযন করি। কারণ, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিল ২০০৬-এ নির্বাচন করতে বিএনপি। অবশ্য তাদের মুখে এখন খুব গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০০৮-এর নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর টানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। না হলে এত উন্নতি হতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সাফল্য আনতে পেরেছি। আমাদের সময় সব দলই কিন্তু তাদের দল করার সুযোগ পাচ্ছে। সে ব্যবস্থাটা আমরা দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: আ.লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় জনগণ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে। এখনও পাঁচ মাসের ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। যারা বলেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? কেন খরচ হচ্ছে? তাদের বলছি: রিজার্ভের টাকা গেছে গম, ভুট্টা, ভোজ্যতেলসহ মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসে যারা… যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে, যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। যেখানে বিএনপির আমলে ’৯১ থেকে ‘৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না। সেই অবস্থায় আমি সরকারে আসি। তখন আমরা কিছু উদ্যোগ নিই। তখন থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়াতে শুরু করি। সেই থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়িয়েছি। ২০০৮-এ যখন আসি, তখনও পাঁচ বিলিয়নের বেশি ছিল না। সেই ৫ থেকে ৪৮ বিলিয়নে তুলতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। তাছাড়া আমাদের যে লোন, বাংলাদেশ কোনোদিন ডিফল্টার হয়নি। আমরা সময়মতো লোন পরিশোধ করি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০০৮ নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, এক টানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজ বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। না থাকলে এত উন্নতি হতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য আনতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে যখন নির্বাচনী ইশতেহারে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন সবাই হাসাহাসি করেছিল। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ইচ্ছামতো বলতে পারছে। বাংলাদেশে একটি টেলিভিশন ও রেডিও (স্টেশন) ছিল সরকারি। আওয়ামী লীগের আমলে প্রচুর রেডিও ও টেলিভিশন করে দিয়েছি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!