সম্মেলন ঘিরে সক্রিয় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা
<![CDATA[
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৭ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সম্মেলন ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে সম্মেলনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কমিটিতে স্থান পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ভালো, রয়েছে ক্লিন ইমেজ, পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবেন। এ ছাড়াও যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এবং মানবিক কাজ করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন।
এবার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা হলেন: সভাপতি পদে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমন, রূপনগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিঠু, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক আবু নাইম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাদ হাসান অথৈ, ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের ২ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক রকি, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেলসহ দুই ডজন পদপ্রত্যাশী।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সালমান খান প্রান্ত বলেন, ‘ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বিপ্লবী বাংলার বিপ্লবী সংগঠন। এর কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং মনে লালন করে। ছোটবেলায় বাপ-চাচাদের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথচলা শুরু। আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি। দলের জন্য ছাত্রলীগের জন্য সবসময় কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব। যতদিন বেঁচে আছি, দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাব, অপশক্তি রুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আমি সবসময় সরব বলে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি বহুবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সুযোগ করে দেন, তাহলে দলের জন্য, ছাত্রলীগের জন্য কাজ করে যাব। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করব। করোনার মধ্যে ছাত্রলীগের হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। সাধারণ মানুষের জন্যও কাজ করে যেতে চাই।’
এর আগে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্থগিত করা হয়। সে সময় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছিল, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল, যদিও পরে তা বাতিল করা হয়েছে। সেই সফর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফেরার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। আর সে কারণেই ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বরের বদলে ওই মাসের অন্য কোনোদিন নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
পরে নতুন করে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সম্মেলন আয়োজনের কথাও জানানো হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনির সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সিদ্ধান্ত থেকে দুদিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলনের নতুন তারিখের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পল্টনে সমাবেশ করলে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে সংগঠনটির সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।
]]>