সরকারি কোয়ার্টার এখন মাদকের আখড়া
<![CDATA[
গাইবান্ধা শহরের সরকারি গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টার এখন মাদক সেবন এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
২০ বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস না করায় অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের দরজা-জানালা, গ্রিল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি। কোটি টাকার সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হলেও নেই কারো কোনো মাথাব্যথা।
গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৬ সালে সাড়ে ৫ একর জমির ওপর গাইবান্ধা শহরের বাংলাবাজার এলাকায় জেলার গেজেটেড অফিসারদের বসবাসের জন্য ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল ও একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করে। এসব ভবনের নাম দেয়া হয় সবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা। শুরুতে সব কটি ব্লকেই বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা বসবাস করায় কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকত কোয়ার্টারগুলো।
গেজেটেড অফিসার্স ডরমিটোরি, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা থাকতে শুরু করলে এ অফিসার্স কোয়ার্টারটি ফাঁকা হতে শুরু করে। ২০০১ সালের দিকে এটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন কেউ না থাকায় স্টাফ কোয়ার্টারগুলোতে ঝোপজঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। গণপূর্ত বিভাগের গাফিলতি ও দেখভালের অভাবে বহিরাগতরা এসব ভবনের দরজা-জানালা, গ্রিল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতিসহ ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬
ওই এলাকার আব্দুস সোবহান জানান, পরিত্যক্ত ভবনগুলো হয়ে উঠেছে অপরাধের অভয়ারণ্য। দিনে ছিনতাই ও সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা এবং সঙ্গে চলে জমজমাট মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারীরা। ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। ‘হাউস রেন্ট’ বাঁচাতে অফিসাররা এখন জেলা পরিষদের ডাকবাংলো অথবা ভাড়া বাসায় স্বল্প ভাড়ায় থাকেন। ফলে অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান সময় সংবাদকে জানান, বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি সম্পদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ভবনগুলো বসবাসের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
]]>