সস্ত্রীক পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
মো: মিজানুর রহমান (পলাশ)
ফেনী শহরের মহিপাল থেকে পুলিশ সদস্য ও তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার ২৮ দিন পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বরগুনার ছোট তালতলী এলাকার মো. চাঁন মিয়া (৫০) ও রিতুল বাড়িয়া এলাকার একিন হাওলাদার (৪০) এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার মধ্য ভুতুরদিয়া এলাকার মকিবুল হাসান (৩০)। গতকাল রোববার রাতে ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার সকালে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এ সময় ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা ও ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ আগস্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ফেনীতে আসেন হনুফা বেগম (৩৪) ও তাঁর স্বামী আবু জাফর (৪৫)। আবু জাফর বর্তমানে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মহিপাল বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে একটি মাইক্রোবাসে ওঠেন তাঁরা। গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লালপোল এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের অপর কয়েকজন যাত্রী তাঁদের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, দুটি স্যামসাং ও একটি নকিয়া মুঠোফোন, হাতঘড়ি ও এক জোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁদের মারধর করে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
নির্যাতনের মুখে বিকাশের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে লালপোল এলাকায় স্বামী-স্ত্রীকে ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পথচারীদের সহায়তায় তাঁরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন ২৯ আগস্ট হনুফা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গত রোববার রাতে আসামিদের তিনজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮-১০টি করে মামলা আছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।